1 মিনিটে পড়ুন Updated: 08 Feb 2024, 10:12 AM ISTSritama Mitra
সরকারি হিসাব বলছে, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১১। ১২৭ জন আহত। ৪ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মধ্যপ্রদেশ বিস্ফোরণে ১০০ জন চাপা পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা।
(ANI Photo)
খোঁজ মিলছে না বহু আহতের। সরকারিভাবে ৪ জন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের হরদায় কারখানায় বুধবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর বৃহস্পতিবারেও আশঙ্কার মেঘ কাটছে না। স্বজনহারাদের হাহাকার আর নিখোঁজদের নিয়ে প্রশ্নের মাঝে মধ্যপ্রদেশে এখনও ১০০ জনের খোঁজ চলছে। মনে করা হচ্ছে ওই ১০০ জন কারখানার ভষ্মীভূত স্তূপের মাঝে পড়ে রয়েছেন।
সরকারি হিসাব বলছে, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১১। ১২৭ জন আহত। ৪ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার ওই ভষ্মীভূত কারখানার চত্বরে পোড়া গন্ধ আর একরাশ প্রশ্নের ভিড় ক্রমাগত দানা বাঁধছে। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ছাইয়ের স্তূপ। এদিকে, স্থানীয় আর উদ্ধার হয়ে ফেরা মানুষরা বলছেন, ভগ্নস্তূপের ভিতরে দুটি স্তরের বেসমেন্ট রয়েছে। সেখানে অন্তত ১০০ শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের বসবাস ছিল। যাঁদের বেশিরভাগজনই এসেছেন বিহার থেকে। এদিকে, গোটা কারখানা চত্বর পুড়ে যেন একটি পিণ্ড হয়ে রয়েছে। তার ভিতর থেকে উদ্ধার কাজ চালানো উদ্ধারকারীদের জন্যও নানান চ্যালেঞ্জ বয়ে আনছে। এদিকে, বৃহস্পতিবারের সকাল হতে না হতেই , মধ্যপ্রদেশের হরদার বৈরাগর গ্রামে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ভিড় করে আসছেন। খোঁজ চলছে তাঁদের আত্মীয় পরিচিতদের। কিন্তু সকলের জন্য সদুত্তর এখনও নেই প্রশাসনের কাছে।
যদিও নর্মদাপুরমের ডিভিশনাল কমিশনার পবন কুমার এই বেসমেন্টের দাবি অস্বীকার করছেন। যদিও এলাকায় ভেসে বেড়াচ্ছে, নানান রকমের রটনা। কেউ বলছেন, বেসমেন্ট রয়েছে, তা ছিল মূলত গুদাম ঘর। কেউ বলছেন,তা নেই। তবে প্রশাসন সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। কোথাও কোনও খামতি রাখতে রাজি নয় প্রশাসন। আপাতত নিখোঁজজের তথ্য দিতে সেখানে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ ডেস্ক তৈরি করা হয়েছে। এইভাবেই চলছে উদ্ধার কাজ।