আরও কিছুটা শিথিল হল লকডাউন। পুর ও পুরনিগম এলাকার বাইরে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে দোকান খোলার অনুমতি দিল কেন্দ্র। তবে সেক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে মাস্ক।
আরও পড়ুন :তেসরা মে কি শেষ হবে লকডাউন? মুম্বই ও কলকাতার হাল নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র
শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের 'শপস অ্যান্ড এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট'-এ নথিভুক্ত সব দোকান খোলা রাখা যাবে। সেই তালিকায় রয়েছে আবাসন ও বাজারের দোকানও। অর্থাৎ শপিং মলের দোকান ছাড়া সব দোকান খোলা যাবে।
আরও পড়ুন :ব্যাঙ্কিং পরিষেবাকে গণপরিষেবা ঘোষণা কেন্দ্রের, ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ধর্মঘট বাতিল
শর্তসাপেক্ষে শহরাঞ্চলে দোকান খোলায় সবুজসংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। 'শপস অ্যান্ড এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট'-এ নথিভুক্ত পাড়া, আবাসন ও শপিং মলের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন দোকান খোলা যাবে। তবে বাজারের দোকান ও শপিং মল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : বেহাল অর্থনীতির জের, ছ'টি ভারতীয় ফান্ড বন্ধ করছে Franklin Templeton
দোকান খোলার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করলেও সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে দোকানগুলি খোলা থাকবে, তাতে ৫০ শতাংশের বেশি কর্মী থাকতে পারবেন না। তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। একইসঙ্গে মাস্ক পরতে হবে।
আরও পড়ুন :রোদের উত্তাপ আর আর্দ্রতায় বাঁচে না করোনাভাইরাস, দাবি আমেরিকার
তবে হটস্পট ও সংক্রামক এলাকায় কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ সেই এলাকাগুলিতে সব দোকান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দোকান খোলা যাবে। পাশাপাশি, ই-কর্মাস সংস্থাগুলি শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ডেলিভারি দিতে পারবে। বন্ধ থাকবে মদের দোকান।