এসসি-এসটি, সংখ্যালঘুদের পড়ুয়াদের বৃত্তি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মাল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর বাগযুদ্ধে উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি।এসসি-এসটি, ওবিসি, সংখ্যালঘুদের পড়ুয়াদের বৃত্তি কেড়ে নিচ্ছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার দলিত, উপজাতি, অনগ্রসর এবং সংখ্যালঘু শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বৃত্তি কেড়ে নিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের অধীনে, বছরের পর বছর স্কলারশিপ প্রাপকদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই খাতে ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।
কংগ্রেস সভাপতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আপনার সরকার দেশের এসসি, এসটি, ওবিসি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবকদের বৃত্তি কেড়ে নিয়েছে।’ সরকারি তথ্য থেকে দেখা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী সরকার কেবল বৃত্তি প্রাপকদের সংখ্যা বিরাটভাবে ছাঁটাই করেনি, বরং বছরের পর বছর এই খাতে গড়ে ২৫ শতাংশ কম ব্যয় করেছে। খাড়গে লিখেছেন, ‘যতক্ষণ না দেশের দুর্বল শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাচ্ছে, তাদের দক্ষতাকে উৎসাহিত না করা হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা কীভাবে যুবকদের জন্য চাকরি বাড়াতে পারব? সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ স্লোগান প্রতিদিন দুর্বল শ্রেণির মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে উপহাস করে।’
বুধবার পাল্টা জবাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক সংখ্যালঘুদের আগের চেয়েও বেশি ক্ষমতায়িত করেছে। আরও বৃত্তি, আরও সুযোগ, আরও স্বচ্ছতা।"
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেশ কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরে করে মল্লিকার্জুন খাড়গের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি লিখেছেন, সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করেছে। রিজিজুর মতে, গত দশ বছরে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের দেওয়া বৃত্তি তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন যে আধার ভিত্তিক প্রমাণীকরণের মতো ব্যবস্থাগুলি ফাঁস রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
উল্লেখ্য, এবার কেন্দ্রীয় বাজেটে উপজাতি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের প্রকল্পগুলিতে বড় ধরনের কাটছাঁট করা হয়েছে। উপজাতি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য জাতীয় ফেলোশিপ এবং বৃত্তিতে ৯৯.৯৯% হ্রাস করা হয়েছে, যেখানে জাতীয় বিদেশী বৃত্তি প্রকল্পে ৯৯.৮% হ্রাস করা হয়েছে। এছাড়াও, সংখ্যালঘুদের জন্য প্রাক-ম্যাট্রিক বৃত্তি ৭২.৪% এবং সংখ্যালঘুদের জন্য ম্যাট্রিক-পরবর্তী বৃত্তি ৬৯.৯% কমানো হয়েছে।