বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > JNU BBC Documentary Controversy: মোদীকে নিয়ে BBC-র তথ্যচিত্র দেখতে না দিতে ছোড়া হয়েছে পাথর, দাবি JNU-র পড়ুয়াদের
পরবর্তী খবর
JNU BBC Documentary Controversy: মোদীকে নিয়ে BBC-র তথ্যচিত্র দেখতে না দিতে ছোড়া হয়েছে পাথর, দাবি JNU-র পড়ুয়াদের
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 24 Jan 2023, 11:45 PM ISTAyan Das
JNU BBC Documentary Controversy: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন। যে ছাত্র সংগঠনে বামপন্থী ডিএফএফ, আইসা, এসএফআই এবং এআইএসএফের সদস্যরা আছেন।
জেএনইউতে পড়ুয়ারা। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে যাতে বিবিসির তথ্যচিত্র দেখতে না পারেন, সেজন্য পাথর ছোড়া হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুললেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) পড়ুয়াদের একাংশ। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। যদিও পাথর ছোড়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
সোমবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। যে তথ্যচিত্র নিয়ে ভারত এবং বিদেশে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক ব্লক করে দেওয়ার জন্য টুইটার, ইউটিউবের
তারইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তরফে কড়া ভাষায় জানানো হয়েছিল, ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের জন্য কর্তৃপক্ষের থেকে কোনও অনুমতি চাওয়া না হয়নি। ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। কারণ তাতে ক্যাম্পাসের শান্তি ও ঐক্য বিঘ্নিত হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।
সেই হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে জেএনইউয়ের ছাত্র সংগঠন। যদিও মঙ্গলবার ছাত্র সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, বিতর্কিত তথ্যচিত্রের প্রদর্শন রুখতে ইউনিয়ন রুমের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে ছাত্র সংগঠন। যে ছাত্র সংগঠনে বামপন্থী ডিএফএফ, আইসা, এসএফআই এবং এআইএসএফের সদস্যরা আছেন।
পড়ুয়াদের দাবি, তাঁরা যাতে বিবিসির তথ্যচিত্র দেখতে না পান, সেজন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপর মোবাইলে দেখার সময়ও পাথর ছোড়া হয়েছে। সংবাসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইসার জাতীয় সভাপতি এন সাই বালাজি দাবি করেছেন যে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে পড়ুয়ারা নিজেদের মোবাইল ফোনে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র ডাউনলোড করেন। সেইসময় তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়ে বলে দাবি করেছেন পড়ুয়ারা।
তবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পাথর ছোড়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লি) মনোজ সি দাবি করেন, ক্যাম্পাসে পাথর ছোড়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাঁর কথায়, 'আমি আবারও বলছি, আমাদের কাছে এখনও এরকম কোনও তথ্য আসেনি।' তবে ক্যাম্পাসের মধ্যে সাদা পোশাকে পুলিশ ঘোরার যে অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়ারা, সে বিষয়ে আপাতত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।