'পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে ভারতের পরাজয় নিশ্চিত।' সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই পোস্ট করে বিতর্কের জড়িয়েছেন ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক ইউডি মিঞ্জকে।জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার জেরে ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে নয়া দিল্লি কূটনৈতিক স্ট্রাইক ঘোষণা করেছেন ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে।যার জেরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বাড়ছে।এই আবহে ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়কের বক্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল।
পহেলগাঁও হামলার পর ২৬ এপ্রিল ইউডি মিঞ্জকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই বিতর্কিত পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তা মুছে ফেলা হয়। তবে ওই পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের মিডিয়া উপদেষ্টা পঙ্কজ ঝা বলেন, 'প্রায় প্রতিটি কংগ্রেস কর্মীই বিশ্বাসঘাতক।' ইউডি মিঞ্জকের পোস্টে লেখা ছিল, 'যারা আজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কথা বলছেন, তাদের জেনে রাখা উচিত যে এবার ভারতকে চিনের সঙ্গেও লড়াই করতে হবে এবং এমন পরিস্থিতিতে ভারতের পরাজয় নিশ্চিত।' পোস্টে আরও বলা হয়েছে, 'পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি অংশে বিনিয়োগ করেছে চিন...এখন যদি ভারত সরাসরি ওই জায়গাগুলিতে আক্রমণ করে, তাহলে চিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই যুদ্ধে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে। ফলাফল সম্পর্কে চিন্তা করুন। তাই পুলওয়ামা পার্ট ২-এর পরে বালাকোট কাউয়া মার স্ট্রাইক পার্ট ২-এর জন্য প্রস্তুত থাকুন।'
আরও পড়ুন-মোতায়েন অ্যান্টি ফিদায়েন স্কোয়াড! জম্মু ও কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ সরকারের
কংগ্রেস নেতার পোস্টটিতে আরও বলা হয়েছে, দেশে বেকারত্ব গত ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে যে কোন যুদ্ধ আত্মঘাতী হবে এবং উভয় দেশের পরিশ্রমী মানুষের উপর অসহনীয় বোঝা চাপিয়ে দেবে। ভারত, পাকিস্তান এবং চিনের নেতৃত্বের জন্য রাজনৈতিক স্বার্থ খোঁজার পরিবর্তে সন্ত্রাসবাদ সমস্যার সমাধান খুঁজতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখনই সময়। যুদ্ধের সমর্থনকারী সকল ভারতীয়কে 'অগ্নিবীর' বানিয়ে সীমান্তে পাঠানো উচিত।'
আরও পড়ুন-মোতায়েন অ্যান্টি ফিদায়েন স্কোয়াড! জম্মু ও কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ সরকারের
প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়কের এই পোস্টটি ভাইরাল হতেই তীব্র সমালোচনা করেছে ছত্তিশগড়ের শাসকদল বিজেপি।মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের মিডিয়া উপদেষ্টা পঙ্কজ ঝা বলেন, 'একজন কংগ্রেস নেতার আরেকটি ভারতবিরোধী, দেশবিরোধী বক্তব্য! আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে প্রায় প্রতিটি কংগ্রেস কর্মীই বিশ্বাসঘাতক। কখন তারা (কংগ্রেস কর্মী) আপনাকে বোকা বানাবে তা আপনি বুঝতেই পারবেন না।' তিনি আরও বলেন, ছত্তিশগড় কংগ্রেসকেমিঞ্জকের পোস্টের জবাব দিতে হবে।অন্যদিকে সমালোচনার মুখে মিঞ্জকে ফেসবুক পোস্টে বলেন, 'সম্প্রতি আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। সেই সময়ে আমার অ্যাকাউন্টে কিছু কার্যকলাপ ঘটেছে, যা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না এবং এর ফলে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।এই অসুবিধার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমি ফেসবুক সাপোর্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং আমার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিচ্ছি।'