
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) নিয়মাবলীর একটি ধারা সংশোধন করল কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের আওতায় ভারতের নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের কোনও সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রদান করা কোনও নথি জমা দিতে হত। ওই নথির মাধ্যমে বোঝা যেত যে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর শিকড় আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে নিহিত আছে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বা কোনও রাজ্য সরকার বা অন্য কোনও 'কোয়াশি জুডিশিয়াল' (আইনের আদালতের মতো, তবে সেটার পরিচালনা করে প্রশাসনিক বা কার্যনির্বাহী সংস্থা) কর্তৃপক্ষের তরফে জারি করা কোনও নথি জমা দিয়েও নাগরিকত্বের আবেদন করা যাবে। আর সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতা স্বপ্নন দাশগুপ্ত। তাঁর মতে, ভারত সরকারের সেই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের (পূর্বতন পূর্ব পাকিস্তান) হিন্দুরা অত্যন্ত লাভবান হবেন। যাঁরা নিজেদের ভিটেমাটি চলে ছেড়ে চলে এসেছিলেন।
বিজেপি নেতা বলেন,'এই যে ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাকে স্বাগত জানাচ্ছি। কোন পরিস্থিতিতে পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশের অনেক হিন্দু বাড়িঘর ছেড়ে চলে এসেছিলেন, সেটা বিবেচনা করে দেখছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বৈদেশিক মূল প্রমাণ করার নথির ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) নিয়মাবলীর সংশোধন করেছে।'
এমনিতে ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অনুযায়ী, সিএএয়ের আওতায় ভারতীয় নাগরিকত্বের আবেদন করার জন্য সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে ঘোষণা করতে হয় যে তিনি বিদেশি। সেইমতো আইনের ১এ শিডিউলে ন'টি নথির উল্লেখ করা আছে, যা আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের কোনও সরকারি কর্তৃপক্ষ জারি করেছে। সেক্ষেত্রে ওই আবেদনকারী বা তাঁর কোনও পূর্বসরি যে ওই তিনটি দেশের মধ্যে কোনও একটি দেশের বাসিন্দা ছিলেন, তা নিশ্চিত করা যেত।
এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে যে নিয়ম সংশোধন করা হয়েছে, তাতে ওই বিষয়টি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বাড়তি হিসেবে যোগ করা হয়েছে একটি নিয়ম। যে নিয়ম অনুযায়ী,ভারত সরকার বা ভারতের রাজ্য সরকার বা ভারতের কোনও 'কোয়াশি জুডিশিয়াল' সংস্থার জারি করা নথিও বৈধ বলে বিবেচনা করা হবে। তার ফলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের আওতায় জমা পড়া আবেদন খতিয়ে দেখার সময় কোনও খামতি ধরা পড়লে সরকারি আধিকারিকদের হাতে বাড়তি একটা বিকল্প থাকবে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) নিয়মাবলী অনুযায়ী, আবেদনকারীর ধর্মের স্বীকৃতির জন্য স্থানীয় পুরোহিত বা নামকরা স্থানীয় 'কমিউনিটি ইনস্টিটিউশন'-র প্রদত্ত শংসাপত্র লাগবে। সেই শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক। এমনিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা ছ'টি অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports