চিন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সামরিক অপারেশন সংক্রান্ত ব্যাপারে আইএসআইয়ের কাছে গোপন তথ্য় তুলে দিয়েছিল এক সেনা জওয়ান। এবার তার বিরুদ্ধে কোর্ট মার্শাল করা হবে। সীমান্তের গোপনীয় বিষয় তিনি রাজধানীতে থাকা পাকিস্তানের দূতাবাসে থাকা এক আইএসআই এজেন্টের কাছে তুলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আর সেই তথ্য় জানতে পেরেই কড়়া ব্য়বস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সিকিউরিটি এজেন্সি জানতে পারে ওই সেনা কিছু গোপনীয় বিষয় পাকিস্তানি চর আবিদ হুসেন ওরফে নায়েক আবিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। তাকে ইসালমিক রিপাবলিক অফ পাকিস্তানি হাই কমিশনারের তরফে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।
আলিম খান নামে ওই ব্যক্তি সেনায় ওয়াশারম্যান ও সিগন্যালম্যান হিসাবে কাজ করতেন। এদিকে তিনি চিন সীমান্ত এলাকার একটি জায়গায় মোতায়েন ছিলেন। সে গোপনে পাকিস্তানি চরের কাছে গোপনে তথ্য় পাচার করত বলে অভিযোগ। ওই চর দিল্লিতে পাকিস্তান দূতাবাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ। প্রতিরক্ষা দফতরের সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে এএনআই।
এদিকে সূত্রের খবর, মাত্র ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সে গোপন তথ্য পাচার করছিল বলে অভিযোগ। এজন্য পাকিস্তানের দূতাবাসের আধিকারিক তাকে টাকা দিয়েছিল।
এদিকে দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে গোপনীয় তথ্য় পাঠানোর চেষ্টা করেছিল সে। এটা বিপক্ষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে আর্মি সূত্রে খবর, বাস্তবে সে গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য় পায়নি। সে কেবলমাত্র কিছু গুরুত্বহীন তথ্য় পেয়েছিল। তবে আর্মি বরাবরই এনিয়ে একেবারে জিরো টলারেন্স পদক্ষেপ নেয় আর তারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে খবর।
ওই ইউনিটের গার্ড ডিউটি সংক্রান্ত কিছু তথ্য় লেনদেন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যানবাহন সংক্রান্ত কিছু তথ্য চরের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয় সেনা।
তবে এখানেই থেমে থাকেনি সে। চিন সীমান্তে সে স্যাটেলাইটের অবস্থান জানার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সে জানতে পারেনি। চিন সীমান্তে রাডার সহ দেশের অন্য়ান্য আধুনিকতম সরঞ্জামের অবস্থান সম্পর্কেও সে জানার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি।
তবে সে তুলনায় গুরুত্বহীন কিছু তথ্য় সে পাকিস্তানের চরের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। যা সেনার সার্ভিস রুলের চরমতম বিরোধী। সেটা জানতে পেরেই এবার কড়া পদক্ষেপ সেনার।