প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শনিবার ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সাথে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের 'শূন্য সহনশীলতা' নীতির বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে ডেভিড ল্যামিকে মোদী বলেন, 'ভারত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রিটেনের সমর্থনকে মূল্য দেয়।' এদিকে জয়শঙ্কর বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের 'শূন্য সহনশীলতার' নীতিকে বুঝতে হবে ভারতের অংশীদার দেশগুলিকে। (আরও পড়ুন: এবার চিনের উত্তরে ভারতীয় সেনা, ড্রাগনের হাড় কাঁপাতেই ছুটল 'যাযাবর হাতি'?)
এদিকে মোদী এবং জয়শঙ্করের সঙ্গে ল্যামির বৈঠকের আগে ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমান শান্তিকে কীভাবে সমর্থন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবেন ব্রিটিশ মন্ত্রী। এদিকে ল্যামির সঙ্গে বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে মোদী বলেন, সীমান্ত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে ব্রিটেনের সমর্থনকে তিনি মূল্য দেন। ভারত এবং ব্রিটেনের বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্বে যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তাতে ল্যামির উল্লেখযোগ্য অবদানেরও প্রশংসা করেন মোদী। (আরও পড়ুন: ‘আমি তো হুজুর বাচ্চা…’,আদালতে 'কান্নাকাটি' ভারতে হামলার ছক কষা ISIS জঙ্গির)
আরও পড়ুন: ৬৬ টাকার রেটে চলছে এই স্টক, ২০ কোটি শেয়ার বিক্রি করবে প্রোমোটাররা
এদিকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ ও তাদের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন মোদী। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং ল্যামি পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। মোদী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত অংশীদারিত্বের গভীরতা নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি টেকনোলজি সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভের অধীনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়েও কথা বলেন ল্যামির সঙ্গে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে ল্যামির মাধ্যমে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণও জানান মোদী। (আরও পড়ুন: নূর খান বেস পরিচালনা করে আমেরিকা! বিস্ফোরক দাবি পাকিস্তানি বিশেষজ্ঞের)
আরও পড়ুন: সামনে এল নয়া তথ্য, অপেক্ষা করতে হলেও মুখে হাসি ফুটতে পারে সরকারি কর্মীদের