সর্বত্র নয়, তবে পূর্ব লাদাখের একাধিক অংশ থেকে ধাপে ধাপে সেনা সরানোর বিষয়ে রাজি হল ভারত এবং চিন। গত এপ্রিল-মে'তে যে জায়গায় দু'দেশের সেনা ছিল, সেই জায়গা পর্যন্ত পিছু হটে যাবে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। সূত্র উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।গত ৬ নভেম্বর চুশুলে অষ্টম কোর-কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে সেনা সরানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই বৈঠকে ছিলেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব নবীন শ্রীবাস্তব এবং মিলিটারি অপারেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়ার ঘাই। সূত্রের খবর, আলোচনার এক সপ্তাহের মধ্যে প্যাংগং সো লেকের এলাকা থেকে সেই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া হবে। দু'দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে বেশ খানিকটা দূরে সেনা মোতায়েন রাখবে। এএনআই জানিযেছে, একদিনের মধ্যে ট্যাঙ্ক এবং সাজোঁয়া গাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্যাংগং সো লেকের উত্তর তীর থেকে সেনা সরে যাবে। তিনদিন ধরে রোজ ৩০ শতাংশ সেনা পিছু হটবে। ভারতীয় সেনা প্রশাসনিক ধান সিং থাপা পোস্টের কাছে চলে আসবে। ফিঙ্গার ৮-এর পূর্বদিকের এলাকায় চলে যেতে রাজি হয়েছে চিন। আর তৃতীয় তথা শেষ দফায় চুশুল, রেজাং লা এলাকার-সহ প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীরের আশপাশের এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে সরে যাবে ভারতীয় এবং চিনা সেনা।সূত্রের খবর, সেই আলোচনার ভিত্তিতে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া কতদূর এগিয়েছে, তা খতিয়ে দেখার বিষয়ে একমত হয়েছে দু'পক্ষ। সেজন্য দু'দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে ব্যবহার করা হবে ড্রোন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রবল শীতের মুখে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিতে সম্ভবত বাধ্য হয়েছে চিন।তবে এখনই চিনের মৌখিক আশ্বাসে পুরোপুরি ভরসা রাখা হচ্ছে না বলে সূত্রের খবর। সে বিষয়ে আপাতত অত্যন্ত সতর্কভাবে পা ফেলছে ভারত। বিশেষত চিন উত্তেজনা প্রশমনের আশ্বাস দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল। তাই বুঝেশুনে ভারত এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে এএনআই।