পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলার পরেই পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে নয়া দিল্লি। এই পরিস্থিতির ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দেশের শেয়ার বাজারে। শুক্রবার বাজার খোলার পর কিছুটা উর্ধ্বমুখী ছিল সেনসেক্স। প্রায় ৩০০ পয়েন্ট বেড়েছিল সূচক। কিন্তু বেলা বাড়তেই শেয়ার বাজারে বড় ধস নামে। সেনসেক্স সূচক প্রথমে ১১২৩ পয়েন্ট পড়ে নেমে আসে ৭৮,৮০০ পয়েন্টে। সেই সঙ্গে নিফটির সূচকেও ৩৩৫ পয়েন্টের ধস নামে।সবমিলিয়ে ভারতের বাজারে অন্তত ১০ লক্ষ কোটি টাকা খুইয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে দিনের শেষে কিছুটা সামলে নিয়েছে শেয়ার বাজার।
আরও পড়ুন-পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে ভয়ে ট্রাম্পের দ্বারস্থ, তবে পাকিস্তানিকে পাত্তাই দিল না আমেরিকা
শুক্রবার দিনের শেষে সেনসেক্স ৫৮৮.৯০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৭৯,২১২.৫৩ পয়েন্টে। অন্যদিকে, ২০৭.৩৫ পয়েন্ট পতন হয়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ বা নিফটির সূচকের। যার জেরে নিফটি পৌঁছে যায় ২৪,০৩৯.৩৫ পয়েন্টে। এদিন যখন একটু একটু করে পড়েছে শেয়ার বাজার। সেই আবহেও বৃদ্ধি পেয়েছে নিফটি অটো, নিফটি আইটি, নিফটি পিএসইউ ব্যাঙ্ক, নিফটি ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস, নিফটি ফার্মা, নিফটি এফএমসিজি, নিফটি মেটাল, নিফটি রিয়েলটি, নিফটি মিডিয়া, নিফটি এনার্জি, নিফটি ইনফ্রা, নিফটি কমোডিটিজ, নিফটি কনজাম্পশন, নিফটি পিএসই, নিফটি সার্ভিসেস সেক্টর, নিফটি কনজিউমার ডিউরেবলস, নিফটি হেলথকেয়ার এবং নিফটি অয়েল অ্যান্ড গ্য়াসের সূচক।এদিকে নিফটি প্রাইভেট ব্যাঙ্কের সূচক নিম্নগামী হয়।এদিন মুনাফার নিরিখে শীর্ষে ছিল এসবিআই লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন, নবীন ফ্লুরিন ইন্টারন্যাশনাল, ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জ, নাভা, এমফাসিস, আশাহি ইন্ডিয়া গ্লাস, নুভামা ওয়েলথ ম্য়ানেজমেন্ট, দিল্লিভেরি, পার্সিস্টেন্ট সিস্টেমস, ম্যাক্রোটেক ডেভলপারস, এবং ইনফোসিসের শেয়ার।
আরও পড়ুন-পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে ভয়ে ট্রাম্পের দ্বারস্থ, তবে পাকিস্তানিকে পাত্তাই দিল না আমেরিকা
অন্যদিকে, বিশ্ব বাজারে ব্যাপক উত্থান লক্ষ্য করা গিয়েছে। ওয়াল স্ট্রিটে এসেছে উত্থান, দক্ষিণ কোরিয়ার শেয়ার বাজার কিংবা জাপানের নিক্কেই সূচক সবেতেই ব্যাপক লাফ দেখা গিয়েছে। জাপানের নিক্কেই সূচক ১.২৩ শতাংশ বেড়েছে। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখায় ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল ভারতের বাজার। কিন্তু সেই আশা ধাক্কা খেল পহেলগাঁও হামলার পর। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত আবহাওয়া খারাপ হতেই নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে দালাল স্ট্রিটে। দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি মানে, যুদ্ধ পরিস্থিতি-সহ একাধিক দিক থেকে বাণিজ্যিক ক্ষতি। সেই শঙ্কাতেই ভুগছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা মুখ ফেরাচ্ছেন শেয়ার বাজার থেকে।