পাকিস্তানি হাইকমিশনের এক কর্মীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিল নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘সরকারি পদমর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এমন কার্যকলাপে যুক্ত থাকার জন্য নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনে কর্মরত এক পাকিস্তানি কর্মীকে অবাঞ্চিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই কর্মীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ সেই মর্মে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে বলে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ২ জনকে গ্রেফতার করা হয় পঞ্জাবে
‘সরকারি পদমর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিহীন’ কী কাজ করেছে ওই পাকিস্তানি কর্মী, তা নিয়ে অবশ্য ভারতের তরফে বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে যেদিন সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার দু'দিন আগেই পঞ্জাব পুলিশের তরফে জানানো হয়, গুপ্তচরবৃত্তির জন্য দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে দিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের এক কর্মীর যোগ ছিল বলেও পঞ্জাব পুলিশের তরফে জানানো হয়।
ভারতীয় সেনার গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য পাচারের অভিযোগ
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পঞ্জাব পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিপি) গৌরব যাদব জানান, ভারতীয় সেনার গতিবিধি নিয়ে সংবেদনশীল খবর পাকিস্তানের হ্যান্ডলারকে পাচার করত একজন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরার সময় যে যে তথ্য উঠে আসে, সেটার ভিত্তিতে আরও একজনকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান পঞ্জাব পুলিশের ডিজি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে শেষ করে দেবে ওদের ‘বন্ধু’, 'ভারত সোজা বুকে হামলা করেছে', বললেন মোদী
যদিও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়নি যে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের কর্মীকে ভারত ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিনা। বিষয়টি নিয়ে মুখ এঁটেছেন আধিকারিকরাও। তবে যে সময় ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যখন ইসলামাবাদের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আপাতত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হলেও উত্তেজনা তেমন প্রশমিত হয়নি।
আরও পড়ুন: ভারতে মুখ থুবড়ে পড়েছে পাকিস্তানের ছোড়া চিনা মিসাইল, পতন বাজারেও, রকেট হল ভারতীয় সংস্থার শেয়ার
পাকিস্তানকে তছনছ করে দিয়েছে ভারত
আর সেই উত্তেজনার নেপথ্যে আছে পাকিস্তানের জঙ্গি-মদতপুষ্ট নীতি। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পরে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় যে পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গিদের মদত আছে, সেটার স্বপক্ষে যথেষ্টও প্রমাণ মেলে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে রাতেও সূর্য ওঠালাম, খোঁচা মোদীর, ‘ভারতের দিকে চোখ তুললেই ধ্বংসলীলা চলবে’
কিন্তু জঙ্গিদের মৃত্যুর বেদনায় ভারতের সামরিক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের উপরে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। পালটা ভারত তছনছ করে দেয় পাকিস্তানের একের পর এক বায়ুঘাঁটি। তারপরই কার্যত হাতে-পায়ে ধরে সংঘর্ষবিরতির জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাকিস্তান।