শুক্রবার দিল্লিতে গাজিপুর ফুল-মান্ডিতে উদ্ধার হয়েছে আইইডি। জানা গিয়েছে বিস্ফোরকের ওজন ছিল ৩ কেজি। দিল্লি পুলিশের তৎপরতায় এই বিস্ফোরক উদ্ধার ঘিরে বড় ক্ষমক্ষতি রোখা গিয়েছে বলে খবর। তবে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য উঠে আসছে, তাতে জানা গিয়েছে, এই ফুলের বাজার (মান্ডি)র কাছে কোনও সিসিটিভি নেই। ফলে কে বা কারা এই বিস্ফোরক সেখানে রেখেছে, তা নিয়ে গাঢ় হচ্ছে রহস্য। উল্লেখ্য়, সামনেই রয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবস তার আগে দিল্লির বুকে এমন বিস্ফোরক উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা জানিয়েছেন যে, গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা তদন্তে নেমেছেন। বহু এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে এই ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, এই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। শুক্রবার বেলা ১১ টা নাগাদ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এরপর দুপুর দেড়টা নাগাদ তা ধ্বংস করে দেওয়া হয় একটি নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের সাহায্যে। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে যখন রাজধানী দিল্লি বিপর্যস্ত তখনই এমন এক ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কোভিডের জেরে গোটা দিল্লি জুড়ে একাধিক বিধি লাগু রয়েছে। এছাড়াও কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রয়েছে দেশের প্রাণকেন্দ্র। সেখানে সকলের চোখ এড়িয়ে ফুলের বাজারে এমনভাবে বিস্ফোরক কে বা কারা রেখে গিয়েছে, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। পরবর্তীকালে উদ্ধার হওয়া ওই বিস্ফোরককে এনএসজির হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারা একটি নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের দ্বারা শহরের বাইরে তা ধ্বংস করে। উল্লেখ্য, এর আগে গোয়েন্দা সূত্রে দেশে একাধিক বিস্ফোরণের সম্ভাবনার খবর ছিল। এরপরই ৩১ ডিসেম্বর মায়ানগরী মুম্বইতে পুলিশকে অ্যালার্টে রাখা হয়। এদিকে, গাজিপুরে শুক্রবারের ঘটনার পর ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে নিরাপত্তার বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সমস্ত নিরাপত্তা এজেন্সিকে ৫ ভোটমুখী রাজ্যে ও দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, কিছু হাইপ্রেফাইল নেতাকে টার্গেট করে বিস্ফোরণের ছক কষছে জঙ্গিরা। সেই দিক থেকে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে।