জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার পর কাকে টার্গেট করবে তা নিয়ে বিভ্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকার। এভাবেই বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। সম্প্রতি পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার নিয়ে ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই আবহে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে ‘গায়েব’ পোস্ট ঘিরে বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের ‘গায়েব’ পোস্টে স্পষ্টতই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: পাকিস্তানের শিরায় শিরায় সন্ত্রাসবাদ, এবার আরও রক্ত গরম হতে পারে ভারতের)
আরও পড়ুন-বিরোধীদের দাবিতে মান্যতা! বিহার ভোটের আগে দেশজুড়ে জাতিগণনার ঘোষণা মোদী সরকারের
এই আবহে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, 'বিজেপি সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে আসল টার্গেট কে- কংগ্রেস, সন্ত্রাসবাদী না পাকিস্তান। কিন্তু এমন সময় টার্গেট স্পষ্ট হওয়া উচিত। আসল টার্গেট সন্ত্রাসবাদী হওয়া উচিত, এবং পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে হবে। কংগ্রেসকে আক্রমণ করা অর্থহীন।' তিনি আরও বলেন, '২২ এপ্রিল আমরা সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলাম। দুই দিন পর এটি হয়। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত না থাকলেও, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং রাহুল গান্ধী উপস্থিত ছিলেন এবং দেশের ঐক্যের উপর জোর দিয়েছিলেন।' (আরও পড়ুন: সব পাক নাগরিক দেশ ছাড়লেও তিনি আছেন ভারতেই, পহেলগাঁও হামলায় নাম জড়াল সেই সীমার?)
কংগ্রেস সাংসদের কথায়, ২৪ এপ্রিল কংগ্রেস তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানায় এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশনের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার সঙ্গে তুলনা করে রমেশ অভিযোগ করেন, বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে সেই ট্র্যাজেডিকেও রাজনীতিকরণ করেছে। তাঁর কথায়, 'এখন ঐক্য ও সংহতির সময়। পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য সম্মিলিত সংকল্প প্রদর্শনের সময় এসেছে যা সে কখনও ভুলবে না।'
আরও পড়ুন: 'পহেলগাঁওয়ের অপরাধী, মদতদাতা এবং পরিকল্পনাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে'
২০০৮ সালে তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী (বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী মোদী) হামলার দুই দিন পর মুম্বই গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে জয়রাম রমেশ বলেন, '২৮ নভেম্বর ২০০৮, মুম্বইতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা শুরু হওয়ার দুই দিন পর বিজেপি কী করেছিল? এক নির্লজ্জ পদক্ষেপ, তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মুম্বই গিয়েছিলেন এবং জাঁকজমকপূর্ণভাবে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য রেখেছিলেন। বিজেপিও একই দিনে সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল। এটা ইতিহাস।আসুন আমরা এই সময় ঐক্যবদ্ধ হই। দেশ অপেক্ষা করছে।'