বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বাইচুং। ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে তিনি দার্জিলিং লোকসভ কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন। তবে বিজেপির প্রার্থীর কাছে হারতে হয়েছিল তাঁকে। পরে নিজের দল খুলেছিলেন - হামরো সিকিম। তবে রাজনৈতিক ময়দানে সাফল্য এখনও অধরা তাঁর।
বাইচুং ভুটিয়া
একসময়ে কলকাতার ময়দানে দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের হয়ে করেছেন বহু গোল। ভারতের হয়েও একাধিক নজির গড়েছেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তবে রাজনীতির ময়দানে বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে তাঁকে। এমনকী ক্রীড়া প্রশাসক হিসেবেও সেভাবে এগোতে পারেননি। এহেন বাইচুং রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু করলেন। সিকিমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিংয়ের সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টে যোগ দিলেন বাইচুং। বৃহস্পতিবার রাবাংলার বারফুঙ্গ এলাকায় নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিংয়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টে যোগ দেন ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া। (আরও পড়ুন: 'বলেছিল, নীল পরা যাবে না! ক্রিকেটারদের আপত্তি ছিল', রোহিতদের জার্সি নিয়ে মমতা)
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বাইচুং। ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে তিনি দার্জিলিং লোকসভ কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন। তবে বিজেপির প্রার্থীর কাছে হারতে হয়েছিল তাঁকে। পরে নিজের দল খুলেছিলেন - হামরো সিকিম। গতকাল বাইচুং চামলিংয়ের দলে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হামরো সিকিম দলটিও মিশে যায় সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টে। (আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ভারতের হারে উল্লাস, বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ করল দার্জিলিঙের হোটেল)
গতকাল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টে যোগদানের পরই একে একে সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চাকে একহাত নেন বাইচুং ভুটিয়া। মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংকে আক্রমণ শানিয়ে বাইচুং বলেন, গোলেকে (ডাকনাম) ক্ষমতায় এনে সিকিমবাসী রাজ্যের জন্য বিপর্যয় ডেকে নিয়ে এসেছে। বাইচুং বলেন, 'এসডিএফ-এ যোগ দিয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। ২০১৯ সালে আমি পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলাম। তবে তা হয়নি। মানুষ আমাদের সমর্থন করেনি। আমরা এক শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছিলাম। এখন মানি। বুঝতে পারছে যে এসকেএম কতটা ক্ষতি করছে রাজ্যের। সেজন্য আমার মনে হয় এসডিএফ ২.০ গঠন খুবই প্রয়োজন ছিল। আমি নিশ্চই একসময় এসিডিএফ দলের বিরোধিতা ও সমালোচনা করেছি। কিন্তু পরে তারা নিজেদের পরিবর্তন করেছে। কিন্তু এসকেএম দলকে কোনও প্রস্তাব বা পরামর্শ দিলে তারা কুশপুতুল দাহ করে, পাথর ছোঁড়ে। আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনহীন ভাবে চলছে এই সরকার।'