ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল পাঁচ জওয়ানের। আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। পাশাপাশি কমপক্ষে ন'জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, উদ্ধারকাজের জন্য ভারতীয় বায়ুসেনার একটি এমআই ১৭ হেলিকপ্টার নামানো হয়েছে।শনিবার ছত্তিশগড় পুলিশের ডিজি ডিএম আওয়াস্তি জানান, মাওবাদী-দমন অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তা বাহিনীর একটি যৌথ দল। সুকমা-বিজাপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় তার্রেমের কাছে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর যে দলে ছিলেন সিআরপিএফের কোবরা, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের জওয়ানরা। প্রায় ঘণ্টাতিনেকের গুলির লড়াইয়ে পাঁচ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের ডিআইজি (মাওবাদী-দমন অভিযান) ওপি পাল। আহত হয়েছেন ১২ জন জওয়ান। ঘটনাস্থল থেকে এক মহিলা মাওবাদীর দেহও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিআইজি। সিআরপিএফের তরফে বলা হয়েছে, ‘প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনজন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড এবং দু'জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। একজন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছে।’ পরে বস্তারের আইজি পি সুন্দরাজ বলেন, 'প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গুলির লড়াইয়ে কমপক্ষে ন'জন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। আসল সংখ্যাটা নিশ্চিত করার জন্য আরও সময় লাগবে। আমাদের অনুমান অনুযায়ী, সেখানে ২৫০ জন মাওবাদী ছিল।'তারইমধ্যে গুলির লড়াই নিয়ে রায়পুরে জরুরি বৈঠকে বসেন ছত্তিশগড় পুলিশের ডিজি, স্পেশাল ডিজি (মাওবাদী-দমন অভিযান) অশোক জুনেজা-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। সূত্রের খবর, আহত জওয়ানদের উদ্ধার করতে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি এমআই ১৭ হেলিকপ্টার নামানো হয়েছে। সরকারিভাবে অবশ্য বায়ুসেনা বা ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।