বিহারে হাড়হিম কাণ্ড! ২৫ বছর বয়সি নার্সিং ছাত্রকে সরকারি হাসপাতালে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের দারভাঙ্গায়। দারভাঙ্গা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিএসসি নার্সিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাহুল কুমারকে তাঁর নব বিবাহিতা স্ত্রী তন্নু প্রিয়ার সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয়। তন্নু ওই মেডিক্যাল কলেজেরই প্রথম বর্ষের নার্সিং ছাত্রী। (আরও পড়ুন: সিন্ধুর বদ্বীপ অঞ্চলে ৮০% জল শেষ, এলাকা ছেড়ে গেছেন ১২ লাখ মানুষ)
আরও পড়ুন: ভয়ে কাঁপছে নিজেদের হাঁটু, এর মাঝে পূর্ব ভারতে হামলার হুমকি পাকিস্তানি সেনার
আরও পড়ুন-'সবচেয়ে খারাপ আদেশ!' সুপ্রিম প্রশ্নের মুখে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি
জানা গিয়েছে, রাহুলের সঙ্গে তন্নুর অসবর্ণ বিবাহ হয়েছিল। চার মাস আগেই তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। এতে তন্নুর পরিবার ক্ষুব্ধ হয়। তাঁরা রাহুলকে তন্নুর স্বামী হিসাবে মেনে নিতে পারেননি। একই হোস্টেল ভবনের দুটি তলায় থাকতেন তাঁরা। তন্নু জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় তিনি হুডি পরা এক ব্যক্তিকে রাহুলের দিকে আসতে দেখেন। তারপর বুঝতে পারেন যে ওই ব্যক্তি তাঁর বাবা। কাঁদতে কাঁদতে তন্নু আরও বলেন, 'আমার বাবা প্রেমশঙ্কর ঝাঁয়ের কাছে একটি বন্দুক ছিল। তিনি আমার চোখের সামনে আমার স্বামীর বুকে গুলি করেন। আমার স্বামী আমার কোলে লুটিয়ে পড়েন।' নিহতের স্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন যে রাহুলকে তাঁর পুরো পরিবার ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে। তন্নুর কথায়, 'আমরা আগেই আদালতে গিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম যে আমার বাবা ও ভাইয়েরা আমার বা আমার স্বামীর ক্ষতি করতে পারে।' (আরও পড়ুন: হতে পারে জঙ্গি হামলা, ভারতের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি)
আরও পড়ুন: 'মৃত অর্থনীতি' বলেছিলেন ট্রাম্প, RBI গভর্নর বললেন - পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থায়…
অন্যদিকে, গুলি চালনার পর রাহুলের বন্ধুরা এবং অন্যান্য হোস্টেল বোর্ডাররা প্রেমশঙ্কর ঝাঁকে বেধড়ক মারধর করে। বাধ্য হয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। রাহুলের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায়। ফলে হাসপাতালেও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। দারভাঙ্গার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কৌশল কুমার এবং সিনিয়র পুলিশ সুপার জগন্নাথ রেড্ডি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হাসপাতালে ছুটে আসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে।সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রেড্ডি বলেন, 'আমরা প্রথমে তথ্য পাই যে একজন বিএসসি (নার্সিং) ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পরে আমরা জানতে পারি যে তিনি তাঁর এক সহপাঠীকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। মেয়েটির বাবা এসে ছেলেটিকে গুলি করে। ছাত্ররা স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের অভিযুক্তের চিকিৎসা করতে না দিতে চাওয়া নিয়ে হাসপাতালে মারামারি শুরু হয়। তাকে এখন পাটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে মামলা দায়ের করব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।'