ভিন জাতের প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য মেয়েকে খুনের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিহারের সমস্তিপুরে। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। জানা গেছে, প্রেমিকের সঙ্গে দিল্লি পালিয়ে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। যা মেনে নিতে পারেনি প্রাক্তন সেনাকর্মী বাবা। বাড়ির একটি পরিত্যক্ত শৌচালয় থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। যার জেরে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন-China:ব্ল্যাকমেইল নয়, আলোচনার পথ খোলা! ট্রাম্পের শুল্ক মিসাইল, সুর নরম চিনের
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সাক্ষী। ২৫ বছর বয়সি তরুণীকে গত ৭ এপ্রিল খুন করে বাড়ির মধ্যেই একটি অব্যবহৃত শৌচালয়ে ঢুকিয়ে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়।বুধবার সেখান থেকেই ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাক্ষীর মামা বিপিন কুমার জানিয়েছেন, গত ৪ মার্চ বাড়ি থেকে পালিয়ে দিল্লিতে থাকা প্রেমিকের কাছে চলে যান তাঁর ভাগ্নি। ভিন জাতের যুবকের সঙ্গে প্রেম ছিল সাক্ষীর। ক্ষী ওর প্রেমিকের বাড়ির কাছেই থাকছিল। তাঁরা দু’জনে একসঙ্গে কলেজেও পড়ত। সেখান থেকেই আলাপ।
আরও পড়ুন-China:ব্ল্যাকমেইল নয়, আলোচনার পথ খোলা! ট্রাম্পের শুল্ক মিসাইল, সুর নরম চিনের
অন্যদিকে, মেয়ের দিল্লি পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন সাক্ষীর বাবা মুকেশ সিং। তড়িঘড়ি মেয়েকে বুঝিয়ে সেখান থেকে সমস্তিপুরে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন বাবা। সাক্ষী ফিরে এলেও কয়েকদিন পরেই ফের নিখোঁজ হয়ে যান সাক্ষী। মেয়েকে দেখতে না পেয়ে মুকেশের কাছে খবর জানতে সাক্ষীর মা। তাঁকে মুকেশ বলেন, সাক্ষী আবার পালিয়ে গিয়েছেন।কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে জানান সাক্ষীর মা। অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সেই সময় সাক্ষীর বাড়ি থেকেই পচাগন্ধ পান তদন্তকারীরা। পরিত্যক্ত শৌচালয় খুলতেই সাক্ষীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। তারপরই মৃতার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জেরায় মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন মুকেশ। তারপরেই মুকেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ মনে করছে, এটি পরিবারের সম্মানরক্ষার্থে খুন।এদিকে, পুলিশ তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।