ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস এমপি ধীরজ শাহু। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত রয়েছে এমন বাড়ি ও ফার্ম থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ৩৫৩ কোটি টাকা। এতদিন ধীরজ এনিয়ে চুপচাপ থাকলেও এবার এনিয়ে তিনি মুখ খুলেছেন। তিনি এবার জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান আয়কর দফতরের কাছে এনিয়ে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তিনি জানিয়েছেন, এটা তাঁর পারিবারিক ব্যবসার টাকা। এর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও সম্পর্ক নেই। এটার সঙ্গে কংগ্রেসের কিছু করার নেই।
ধীরজ শাহুর মদের ব্যবসা রয়েছে। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকা ধীরজের যে ফার্ম রয়েছে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা।
তবে এবার ওই টাকার সঙ্গে নিজের দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করছেন ধীরাজ। তিনি জানিয়েছেন, আয়কর দফতরকে জানাতে হবে এটা কালো টাকা নাকি সাদা টাকা। সমস্ত ব্যবসাই আমাদের পরিবারের নামে। আমাদের পরিবার বিরাট। আমি ব্যবসায়ী নই। আমি রাজনীতিবিদ। গত ৩০-৩৫ বছর ধরে রাজনীতিতে রয়েছি। আমার পরিবার এর উত্তর দেবে। এটা নিয়ে আমার বা আমার দলের কিছু করার নেই।
প্রসঙ্গত গত ৬ ডিসেম্বর আয়কর দফতর তিনটি রাজ্যে হানা দিয়েছিল। তখনই ওই মদের ফার্ম থেকে কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে। তার মধ্য়ে প্রচুর পুরোনো ৫০০ টাকার নোটও ছিল। পাঁচ দিন গুনতে লেগেছিল। এমনকী মেশিনও কার্যত বিগড়ে যায় টাকা গুণতে গিয়ে। টাকা গোণার জন্য় আরও লোক আনতে হয়।
এনিয়ে কটাক্ষ করে টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছিলেন, এটা হল মোদীর গ্যারান্টি। পাই পয়সা ফেরৎ দিতে হবে। দেশবাসী এই টাকার স্তুপ দেখুন এরপর ওদের নেতাদের সততার কথা বলবেন।
এদিকে ধীরজের পুত্র ঋতেশ শাহু হলেন ওই কোম্পানির এমডি। তাঁর দাদা উদয় শঙ্কর প্রসাদ হলেন ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান। তবে কংগ্রেস আগেই জানিয়েছিল ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। এত টাকা কোথা থেকে এল সেটা একমাত্র ধীরজ নিজে বলতে পারবেন।