
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ইদানীং ভারতে এক নতুন ত্রাসের আমদানি হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে - 'ডিজিট্যাল অ্যারেস্ট' ডিজিট্যাল গ্রেফতারি।
এ হল এমন এক ধরনের জালিয়াতি, যার মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা বা অন্য কোনও সরকারি আধিকারিকের ভেক ধরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এক বা একাধিকবার ফোন করে।
তারপর তাঁদের নানারকম মিথ্যা কথা বলে দেখায়। তারা ভুক্তভোগীদের ভুল বুঝিয়ে এমনভাবে তাঁদের ব্রেন ওয়াশ করে যে, এক সময় তাঁরা বাধ্য হয়েই ওই সাইবার অপরাধীদের কথা মতো তাঁর 'মোবাইল নম্বরের অপব্যবহার করা হচ্ছে' বলে 'অভিযোগ দায়ের' করতে বাধ্য হন!
এরপর দুষ্কৃতীরা বলে, ভুক্তভোগীকে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে হবে এবং যদি 'তদন্তে' তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে ওই টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
এবার এই ধরনেরই একটা ঘটনার 'চিত্রনাট্য' প্রকাশ্যে আনলেন গুজরাতের এক বাসিন্দা। তিনি প্রায় এক ঘণ্টার একটি ভিডিয়ো তাঁর এক্স অ্য়াকাউন্টে পোস্ট করেছেন।
সেই ভিডিয়োয় এক ভুয়ো পুলিশ কর্তাকে দেখা গিয়েছে এভাবেই কথার ফাঁদে ফেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা আদায় করতে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
প্রথমে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের মালিক সেই কল রিসিভ করার পর অপর প্রান্তের অজানা ব্যক্তি জানায়, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে তাঁর মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেওয়া হবে।
কারণ, ওই মোবাইল নম্বর থেকে অন্যদের হেনস্থা করার এবং আর্থিক জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে ওই অচেনা ব্যক্তি নিজেকে হয় পুলিশের বড় কর্তা অথবা ট্রাই-এর কোনও আধিকারিক বলে পরিচয় দেবে।
এরপরই ওই সাইবার অপরাধী, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বলবে, হয় তাঁকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোনও একটি থানায় পৌঁছতে হবে। অথবা, তিনি চাইলে হোয়াট্সঅ্যাপ ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে তাঁর মোবাইল নম্বরের অপব্যবহার সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।
এক্ষেত্রে দ্বিতীয় উপায়টিই সকলে অবলম্বন করেন। এর এটাই হল সবথেকে ভয়ঙ্কর ফাঁদ।
এরপর ভুক্তভোগীর কাছে আসবে একটি হোয়াট্সঅ্য়াপ ভিডিয়ো কল। তিনি দেখতে পাবেন সামনে একজন জাঁদরেল চেহারার 'পুলিশ অফিসার' বসে রয়েছে। যে আসলে ভুয়ো। এমনকী, সামনের মানুষটিকে বোকা বানানোর জন্য প্রতারকরা নকল থানার ব্যাকগ্রাউন্ডও তৈরি করে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এরপর ওই ব্যক্তিকে তাঁর মোবাইলের ব্যাক ক্যামেরাও চালু করতে বলা হবে। যাতে প্রতারক ফোনের ওপারে বসেই ভুক্তভোগীর চারপাশে নজর রাখতে পারে।
এরপর ওই ভুয়ো পুলিশ অনেক জ্ঞান দেবে। আধার কার্ড সামলে রাখতে বলবে, সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইয়ের নামে ভুয়ো চিঠি পর্যন্ত প্রিন্ট করে দেখাবে!
সেই চিঠি ভার্চুয়ালি ভুক্তভোগীকেও পাঠানো হবে। সঙ্গে ভুয়ো আধারকার্ডের ছবিও থাকবে। যদিও তাতে নামের বানান ভুল থাকতেই পারে।
এরপর শুরু হবে, আরও এক দফা অভিযোগ। ভিডিয়ো কল চলাকালীনই ওই পুলিশ সেজে থাকা ওই প্রতারক 'ওয়াকি-টকি'তে কারও সঙ্গে কথা বলার অভিনয় করবে।
এরপরই সেই প্রতারকের গলার স্বর পালটে যাবে। সে ভুক্তভোগীকে গ্রেফতার করার ভয় দেখাবে। এমনকী, সে বলবে ফোনের এপাশে থাকা মানুষটি নাকি কোনও দাগি অপরাধীর সঙ্গে যুক্ত। 'পুলিশের' কাছে তার প্রমাণ রয়েছে।
এরপরই শুরু হবে ভুক্তভোগীর ব্যাঙ্কিং লেনদেন, ইউপিআই বা নেট ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত প্রশ্ন। যা আদতে টাকা অদায় করার চিত্রনাট্যের অন্তিম ধাপ।
সবশেষে সে ভুক্তভোগীকে বলবে, ওই টাকা পুলিশের কাছেই জমা থাকবে। তদন্তের শেষে ভুক্তভোগী নির্দোষ প্রমাণিত হলে, সেই টাকা ফেরত পাবে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports