বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Face recognition camera in railway station: যাত্রী সুরক্ষায় শহরতলির স্টেশনগুলিতে বসছে ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা
পরবর্তী খবর
Face recognition camera in railway station: যাত্রী সুরক্ষায় শহরতলির স্টেশনগুলিতে বসছে ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 09 Oct 2023, 08:34 AM ISTMD Aslam Hossain
এই ক্যামেরাগুলি বসানো হচ্ছে নির্ভয়া তহবিলের টাকায়। এর জন্য ৮২ কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে। রেল সূত্রের খবর, এই স্টেশনগুলির মধ্যে ১১৭ টি শহরতলির স্টেশন রয়েছে। সেখানে মোট ৩৬৫২টি এই ধরনের ক্যামেরা বসানো হবে। প্রথম বসবে মুম্বাই ডিভিশনে। এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে বলে মনে করছে রেল।
স্টেশনগুলিতে বসবে ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা। প্রতীকি ছবি
যাত্রী নিরাপত্তায় বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে থাকে রেল। যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে ইতিমধ্যেই দেশের বহু স্টেশনে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। মূলত সেগুলি রয়েছে বড় স্টেশনগুলিতে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে শহরতলির স্টেশনগুলিতে যাত্রী সুরক্ষায় বসানো হচ্ছে ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা। এর মাধ্যমে শুধু যাত্রী সুরক্ষাই নিশ্চিত করা যাবে না, দাগী অপরাধীদের ও চিহ্নিত করা যাবে। এই ধরনের ক্যামেরা প্রথম বসছে মধ্য রেলওয়ে জোনের স্টেশনগুলিতে। ইতিমধ্যে ৩৬৪ টি স্টেশনকে এর জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এই স্টেশনগুলিতে মোট ৬১২২টি ক্যামেরা বসানো হবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ক্যামেরাগুলি বসানো হচ্ছে নির্ভয়া তহবিলের টাকায়। এর জন্য ৮২ কোটি টাকা খরচ ধার্য করা হয়েছে। রেল সূত্রের খবর, এই স্টেশনগুলির মধ্যে ১১৭ টি শহরতলির স্টেশন রয়েছে। সেখানে মোট ৩৬৫২টি এই ধরনের ক্যামেরা বসানো হবে। প্রথম বসবে মুম্বই ডিভিশনে। এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে বলে মনে করছে রেল। সাধারণত অনেক ক্ষেত্রে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ার ভয়ে বড় স্টেশনগুলিতে না গিয়ে মূলত শহরতলির স্টেশনগুলি থেকে লোকাল ট্রেন ধরে পালিয়ে যায়। এর পাশাপাশি অতীতে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা ঘটেছে লোকাল ট্রেনে। সেইসব কথা মাথায় রেখে এই ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
জানা গিয়েছে, এই ক্যামেরার সামনে কোনও দাগী অপরাধী একবার চলে আসলে সার্ভারে তথ্যের সঙ্গে অপরাধীর মুখের ছবি মিলে গেলে কন্ট্রোল রুমকে সতর্ক করবে। যার ফলে সহজেই অপরাধীকে গ্রেফতার করা যাবে। এর ফলে বিভিন্ন স্টেশনে দুষ্কৃতীদের সহজে আটকাতে পারবে রেল পুলিশ। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই ক্যামেরাগুলি ভিড়ের মধ্যেও দাগী অপরাধীদের মুখ শনাক্ত করতে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে শুধু নাশকতামূলক বা চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনাই নয়, মাদক পাচারকারীদেরও আটকানো সম্ভব হবে। সেক্ষেত্রে এই ক্যামেরাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও উন্নত মানের এই ক্যামেরার সাহায্যে যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে। প্রথমে মধ্য রেলওয়ে জোনে এই ক্যামেরাগুলি বসানো হলেও পরে অন্যান্য জোনগুলিতে এই ক্যামেরা বসানো হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পাশাপশি বিভিন্ন স্টেশনে সাধারণ ক্যামেরা বসানোর কথা রেলের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল।