হরিয়ানা থেকে আসা জলে বিষ মেশানো হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন খোদ আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অতিশী।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানিয়েছেন, ‘কেজরিওয়াল ও আমি হরিয়ানার ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করেছি। কীভাবে যমুনা নদীতে বিষযুক্ত জল পাঠিয়েছিল। সিও দিল্লি জলবোর্ড চিঠি পাঠিয়েছিল। কিন্তু সত্যি তো সবসময়ই সত্যি। এই চিঠিতে সত্যিটা সামনে এনেছে। সিও দিল্লি জল বোর্ড পরিস্কার বলে দিয়েছে, যেখানে যমুনা নদীতে ১ পিপিএম অ্যামোনিয়াযুক্ত জল থাকে সেটা দিল্লি জল বোর্ডের জলপ্রকল্প পরিস্কার করে দিতে পারে। ২-আড়াই পিপিএম হতে পারে। কিন্তু আজকের দিনে যমুনা নদীতে সাড়ে ৬ পিপিএম অ্যামোনিয়া আসছে। ’
‘নর্মাল থেকে ৬ গুণ বেশি পিপিএম অ্যামোনিয়া এসেছে। তার মানে হরিয়ানা বিষ পাঠাচ্ছে। ৭.২ পিপিএম পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। সাতগুণ অ্যামোনিয়াযুক্ত জল হরিয়ানা দিল্লিবাসীর জন্য পাঠাচ্ছে। সিও জলবোর্ডের চিঠি সত্যিকে সামনে এসেছে। হরিয়ানার ষড়যন্ত্রকে সামনে এনেছে। দিল্লির বাসিন্দাদের বিষযুক্ত জল দিচ্ছিল। এই সত্যিকে সামনে এনেছে। এই ধরনের খারাপ রাজনীতি বিজেপি করবেন না। দিল্লির বাসিন্দাদের সাত গুণ বেশি অ্যামোনিয়া যুক্ত জল দিচ্ছিল। ভোটে লড়তে হলে সামনে এসে লড়ো, ইস্যুর ভিত্তিতে লড়ো। কিন্তু দিল্লিবাসীকে বিষযুক্ত জল দেওয়াটা নোংরা রাজনীতি।’
‘আমি ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা এই জলকে আসতে দেননি। যদি এই জল চলে আসত তবে কতটা ত্রাহি ত্রাহি হয়ে যেত। ’
কেজরিওয়াল কী বলেছিলেন?
কেজরিওয়াল বলেছিলেন, দিল্লিতে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে পানীয় জল আসে। হরিয়ানা থেকে যমুনা পথে পানীয় জল আসে। বিজেপির হরিয়ানা সরকার দিল্লিতে আসা যমুনার জলে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। এটা জল বোর্ডের ইঞ্জিনিয়াররা ধরে ফেলেছেন। বর্ডারেই আটকে দিয়েছেন। ভেতরে আসতে দেননি। এটা যদি দিল্লিতে চলে আসত আর পানীয় জলে মিশে যেত তবে না জানি কত মানুষের মৃত্যু হয়ে যেত। গণহত্যা হয়ে যেত। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টেও পরিস্কার করা যেত না। সেকারণেই জলের অভাব হচ্ছিল। এই ধরনের রাজনীতি ঠিক নয়। দু দেশের যুদ্ধের মধ্যে এসব হয়। দিল্লিতে যে জল আসছিল তাতে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল, আর পুরো দায় পড়ে যেত আপের উপর। যতদিন কেজরিওয়াল রয়েছেন, ততদিন দিল্লির মানুষের কোনও ক্ষতি হতে দেব না। সেই সঙ্গেই তিনি জল নিগমের আধিকারিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন বিষয়টি আঁচ করেই সীমান্তেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে হরিয়ানার মুখ্য়মন্ত্রী বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন।