অভিযোগ ছিল ভরা সভায় ‘ ফেয়ারওয়েল’র দিন সকলের সামনে এডিএম নবীন বাবুকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন সিপিআইএম নেত্রী পিপি দিব্যা। তারপরই ওই অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্স ম্য়াজিস্ট্রেট বা এডিএম আত্মঘাতী হন। এদিকে, দিব্যার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে, কেরলের কুন্নুরের জেলা পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট পদ থেকে দিব্যাকে সরানোর কথা জানিয়েছে পার্টি।
বাম শাসিত কেরলে এডিএম পদমর্যাদার অফিসারকে সকলের সামনে দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যা দেন পিপি দিব্যা। সিপিআইএম নেত্রী পিপি দিব্যার এই মন্তব্যের পরই এডিএম নবীন বাবু আত্নঘাতী হন। কেরলের মালয়ালাপুঝাতে নবীনবাবুর শেষকৃত্যের কয়েক ঘণ্টা পরই সিপিআইএম পার্টির তরফে দিব্যাকে পদ থেকে সরানোর ঘোষণা করা হয়েছে। সিপিআইএমের কুন্নুরের জেলা সচিবের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। পার্টি জানিয়েছে, আইনজীবী কেকে রন্তাকুমারী ওই পদে আসীন হবেন। এদিকে, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দিব্যার বিরুদ্ধে ন্যায় সংহিতার ১০৮ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে কুন্নুরের টাউন পুলিশ স্টেশনে। এই ধারাটি জামিন অযোগ্য পরোয়ানা। এই ধারায় অভিযুক্তের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাবাসের সাজা লাগু থাকে।
এদিকে, সিপিআইএমের তরফে জানানো হয়েছে, দিব্যার বিরুদ্ধে যেহেতু পুলিশি তদন্ত চলছে, তাই তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। দিব্যাও বিষয়টিতে রাজি হন। এদিকে, বামনেত্রী দিব্যাও একটি বিবৃতিতে নবীন বাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি জানিয়েছেন, এই পুলিশি তদন্তে তিনি সমস্ত রকমের সহোযোগিতা করবেন। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও তিনি আইনিভাবে খণ্ডন করার কথাও জানিয়েছেন। তিনি জানান, সার্বিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছিলেন, তবে ফেয়ারওয়েল সভায় এমনভাবে কথা বলাটা ঠিক হয়নি বলেও তিনি মেনে নেন।
এদিকে, ঘটনার পরই কান্নুর জেলা প্রশাসনকে নোটিশ পাঠিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। জেলাশাসক এবং জেলার পুলিশ প্রধানকে তদন্ত শেষ করে দু'সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, নবীনের কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়নি।