পুরুষের যৌন ক্ষমতার উপর কোনও প্রভাব ফেলছে না এআরএনএ করোনার ভ্যাকসিন। উল্টে শুক্রাণুর মাত্রা ঠিকঠাক আছে। এমনই তথ্য উঠে এসেছে মায়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়। এই সংক্রান্ত প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এই দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।এই গবেষণার রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে যে, ৪৫ জন পুরুষ স্বেচ্ছাসেবীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে ও পরে তাঁদের শারীরিক মূল্যায়ন করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টে গবেষকরা দেখেন যে, এমআরএনএ ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যে শুক্রাণুর মাত্রা স্বাস্থ্যকর স্তরেই রয়েছে। আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৫ জন পুরুষের মধ্যে ২১ জন অর্থাৎ ৪৬.৭ শতাংশ টিকাপ্রাপকদের ফাইজারে দু’টি ডোজ ও বাকি ২৪ জন ৫৩.৩ শতাংশ পুরুষকে মডার্না ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল।টিকা দেওয়ার আগে তাঁদের বীর্যের ঘনত্ব ও শুক্রানুর সংখ্যা পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাতে দু’টি ক্ষেত্রে প্রতি মিলিলিটারে ২৬ ও ৩৬ মিলিয়ন শুক্রাণু রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার পর ফের তাঁদের বীর্য পরীক্ষা করে গবেষকরা দেখেন, ২৬ মিলিয়ন কাউন্টের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি মিলিলিটারে ৩০ মিলিয়ন শুক্রাণু। আর ৩৬ মিলিয়ন কাউন্টের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা বেড়েছে প্রতি মিলিলিটারে ৪৪ মিলিয়ন শুক্রাণু। সেক্ষেত্রে বীর্যের ঘনত্ব ও শুক্রানুর গতিশীলতায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি হয়েছে।তবে এই বীর্যের বৃদ্ধির হারকে রুটিন পরিবর্তন হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন প্রতিবেদকরা। দ্বিতীয় নমুনা দেওয়ার আগে সময়সীমা বাড়ানোর জন্যেও এই বীর্যের বৃদ্ধি হতে পারে বলে তাঁরা দাবি করেছেন।