এই পদক্ষেপ 'অযৌক্তিক চাপ' এবং 'আত্মসম্মানে আঘাতের' ফল। ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য বিধায়ককে ভর্ৎসনা করে এক ব্যাঙ্কের সিইও-র বরখাস্তের নির্দেশ বাতিল করেছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। সিধি জেলার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সিইও একজন ক্লার্কের বদলির নির্দেশের জেরে বিতর্কের সূত্রপাত। মধ্যপ্রদেশ সরকারের প্রাক্তন এক মহিলা মন্ত্রী এবং বিধায়কের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠে ব্যাঙ্কের সিইও-র বিরুদ্ধে। এরপরেই এই ঘটনা রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের খেলায় পরিণত হয়।
আবেদনকারী আদালতকে জানান, তিনি একজন ব্যাঙ্ক কর্মীকে বদলি করার নির্দেশ দেন। যার জেরে তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হন ওই বিধায়ক।আগে থেকে না জানিয়ে বদলির করার জন্য তাঁকে ফোন করে ক্ষোভ উগরে দেন ওই মহিলা বিধায়ক। এরপরেই বিধায়ককে অসংসদীয় ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ তুলে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। এই মামলায় মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক জৈন বলেন, ব্যাঙ্কের সিইও-কে বরখাস্ত অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ এবং পক্ষপাতদুষ্টতার মাধ্যমে হয়েছে। রায়ে স্পষ্ট হয়েছে যে বিধায়ক তার সীমা লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর পদের অপব্যবহার করে সিইওকে অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য চাপ দিয়েছেন।আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'এটি আসলে এমন একটি মামলা যেখানে আবেদনকারী একজন কর্মীর বদলি বাতিলের দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বিধায়ক আত্মসম্মানে আঘাত পেয়েছেন।'
আরও পড়ুন-ভারতীয়দের এইচ-১বি ভিসায় আপত্তি! ট্রাম্পকে বিশেষ পরামর্শ কংগ্রেস সদস্যের
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'জনসাধারণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, এই মামলাটিকে একজন বিধায়ক বা এমপির তার নির্বাচনী এলাকার একজন কর্মচারীর বদলির নির্দেশের সুপারিশের মামলার সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এটি এমন একটি মামলা যেখানে জনপ্রতিনিধি ক্লার্কের মতো পদে অধিষ্ঠিত একজন কর্মচারীর কারণ তুলে ধরেছিলেন এবং ব্যাঙ্কের সিইও-কে বদলির নির্দেশ বাতিল করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন... এবং মনে হচ্ছে আবেদনকারী চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন...।' তবে আদালত তার রায়ে বিধায়কের নাম উল্লেখ করেনি।
আরও পড়ুন-ভারতীয়দের এইচ-১বি ভিসায় আপত্তি! ট্রাম্পকে বিশেষ পরামর্শ কংগ্রেস সদস্যের
অন্যদিকে, এই রায় রাজনীতিবিদদের ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থে ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে একটি যুগান্তকারী সর্তকতা হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে । এই রায়ের মাধ্যমে ফের প্রমাণিত হয়েছে যে সরকারি কর্মচারীরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অধীনস্থ নন এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলি রাজনৈতিক আত্মসম্মানের কাছে নতি স্বীকার করা উচিত নয় ।