মুম্বইয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস ব্রহ্মপুত্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও নিখোঁজ নাবিকের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই অবস্থায় নিখোঁজ নাবিকের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌ বাহিনীর ভাইস চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল কৃষ্ণ স্বামীনাথন।
আরও পড়ুন: আইএনএস ব্রহ্মপুত্রে অগ্নিকাণ্ড! ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত একাংশ, নিখোঁজ নাবিক, তদন্তের নির্দেশ নৌসেনার
মেরামতির কাজ চলাকালীন আচমকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল আইএনএস ব্রহ্মপুত্রে। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জাহাজটির। সেই ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন ওই নাবিক। জানা যাচ্ছে, এই জাহাজটি ২০০০ সালের এপ্রিল মাসে ভারতীয় নৌ সেনায় যুক্ত করা হয়েছিল। একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী যুদ্ধজাজ হল আইএনএস ব্রহ্মপুত্র। এই জাহাজে ছিলেন ৪০ জন্য নৌসেনা আধিকারিক এবং ৩৩০ জন নাবিক। জাহাজটিকে মেরামতির জন্য মুম্বইয়ের নৌবাহিনীর ডকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই রবিবার সন্ধ্যায় আচমকা জাহাজে আগুন ধরে যায়। প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে নাবিকরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। তবে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় খবর দেওয়া হয় দমকলে। অবশেষে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী। সোমবার ভোর নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এর ফলে জাহাজে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কৃষ্ণ স্বামীনাথন জানিয়েছেন, কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল? তা জানার জন্য তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার পর ত্রুটি খতিয়ে দেখে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।’ নিখোঁজ নাবিক সম্পর্কে তিনি জানান, ওই নাবিককে জাহাজ থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, তারপরে তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই নাবিকের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। জাহাজটি ভারত মহাসাগরে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থায়ীত্ব বজায় রেখে আগামী দিনে নৌবাহিনীর শক্তি আরও বাড়াবে বলে স্বামীনাথন জানিয়েছেন।