ক্যানসার রোগীর জন্য উইগ তৈরি করতে মাথা কামিয়ে একঢাল চুল দান করলেন ওড়িশার কলেজছাত্রী শ্রুতি স্বপ্না মাইতি।
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপদা শহরের এমপিসি কলেজের ছাত্রী শ্রুতি জানিয়েছেন, দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় এক বন্ধুর মা ক্যানসারে আক্রান্ত হন। কেমোথেরাপি নেওয়ার সময় তাঁর মাথার সব চুল উঠে যায়।
ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মা-কে চুল হারিয়ে ভেঙে পড়তে দেখে তাঁর জন্য পরচুলের ব্যবস্থা করার ইচ্ছা হলেও কী ভাবে তা সংগ্রহ করবেন, তা ভেবে পাননি শ্রুতি। তবে কলেজে পড়ার সময় এমনই আর এক ক্যানসার রোগীর ইচ্ছাপূরণে ব্রতী হলেন তরুণী।
খবর পেয়ে বিউটি পার্লারে গিয়ে সযত্নে নিজের মাথার সব চুল কামিয়ে ফেলেন শ্রুতি। পরে তাই দিয়ে ক্যানসার রোগীর মাথায় উইগ তৈরি করা হয়।

ন্যাড়া হয়ে এতটুকুও লজ্জা পাননি কলেজছাত্রীটি। তিনি বলেন, ‘যখন কোনও ক্যানসার রোগী তাঁর মাথার সব চুল হারান, ভাবুন সেটা কী নিদারুণ অনুভূতি হতে পারে। আমার কয়েক মাসে ফের চুল গজাবে, কিন্তু একজন ক্যানসার রোগীর মাথায় আর চুল গজাবে না। এটা সামান্যই একটু সাহায্য। সৌন্দর্য্য যাবে আসবে, কিন্তু মানবিকতা রয়ে যাবে।’
মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারও করেছেন শ্রুতি। তাঁর দাদু-দিদিমা নির্মলকান্তি বসু ও কুনি বসু বলেন, ‘আমরা গর্বিত যে শ্রুতি আমাদের নাতনি। যে পৃথিবীতে দয়া এক বিরল বস্তু, সেখানে ও প্রমাণ করেছে কত বড় ওর হৃদয়। ও নিয়মিত রক্তদানও করে। কোনও কিছুর প্রত্যাশা না করে সমাজকল্যাণে ব্রতী হওয়া খুবই গৌরবের।’
শ্রুতি জানিয়েছেন, কলেজে পড়ার সময় ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম-এ অংশগ্রহণ করার পরেই তিনি সমাজসেবার প্রতি আগ্রহী হন।