দক্ষিণ ভারতের কেরলে প্রবল বৃষ্টিতে প্রবল দুর্যোগ চলছে বিগত কয়েকদিন ধরেই। আর এবার উত্তর ভারতে হিমালয়ে পরপর দুর্যোগ দেখা গেল। হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে আজ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। হিমাচলেও এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও সেখানে অনেকেই নিখোঁজ। এদিকে কেদারনাথের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২০০ পুণ্যার্থী আটকে পড়েছেন ধসের জেরে। (আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা এয়ারটেলের, এই গ্রাহকদের ফ্রি ইন্টারনেট, ফোন কল এবং SMS দেবে সংস্থা)
আরও পড়ুন: কেরলে মৃত বেড়ে ২৭৫! দুর্যোগের মধ্যেই সেতু তৈরি করে উদ্ধারকাজ জারি সেনার
আরও পড়ুন: ৩ পড়ুয়ার মৃত্যুর স্মৃতি ম্লান হতে না হতে এবার গাজীপুরে বৃষ্টির বলি মা-ছেলে
জানা গিয়েছে, হিমাচলপ্রদেশের সিমলা ও মান্ডিতে জোড়া মেঙভাঙা বৃষ্টি হয়। এর জেরে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত মান্ডিতে ২ জন এবং রামপুরে ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মান্ডির চৌহার উপত্যকার তেরং গ্রাম প্রায় পুরোটাই ভেসে গিয়েছে এই দুর্যোগের জেরে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল রাত ১২টা নাগাদ মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়। এই আবহে ঘুমের ঘোরেই অনেকে জলে ভেসে যান। এদিকে কুলুতে ভেসে গিয়েছে মালানা বাঁধ। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজে বাধা পাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি দিল্লিতে,নতুন সংসদে চুঁইয়ে পড়ছে জল! ভাইরাল সাংসদের পোস্ট করা ভিডিয়ো
অপরদিকে উত্তরাখণ্ডের টিহরিতেও মেঘভাঙা বৃষ্টিতে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কেদারনাথের পথে ভীম বলীতে বড় ধস নামে। বর্তমানে উত্তরাখণ্ডে চারধাম যাত্রা চলছে। এই আবহে দুর্যোগের জেরে পর্যটক এবং পুণ্যার্থীরা আটকে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কেদারনাথে ইতিমধ্যেই আটকে পুণ্যার্থীরা। এই আবহে আপাতত কেদারের উদ্দেশে পুণ্যার্থীদের যেতে বারণ করা হয়েছে। এদিকে হরিদ্বারেও ধস নেমেছে। সেখানে ধসের জেরে বাড়ি ভেঙে পড়ে একই পরিবারের ছ’জন আহত হন। এদিকে হরিদ্বারে বহু গাড়ি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। চামোলিতে এক মহিলা এবং শিশু নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। আলমোড়াতে একটি সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পিথোরাগড়-তাওয়াঘাট জাতীয় সড়ক। ধসের জেরে রুদ্রপ্রয়াগ, বাদেশ্বর, চম্পাবত এবং টিহরী জেলার বহু রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।