চিনের বিরুদ্ধে শুল্ক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন ট্রাম্প। এই আবহে প্রতিবেশী ভারতকে সঙ্গে চাইছে চিন। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস বা চিনা সংসদে ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সেখানে তিনি বললেন, 'পূর্ব লাদাখে চার বছর ধরে চলা সামরিক সংঘাতের সমাধানের পর সকল স্তরে ভারত ও চিনের সম্পর্কে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।' রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সফল বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ড্রানগ এবং হাতি একসঙ্গে নাচবে। এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। একে অপরকে হারানোর চেষ্টা না করে একে অপরকে সমর্থন করতে হবে আমাদের। একে অপরের বিরুদ্ধে ঢাল তুলে দাঁড়ানোর পরিবর্তে উভয় জাতির মৌলিক স্বার্থে সহযোগিতা জোরদার করা উচিত আমাদের।' (আরও পড়ুন: সব পোশাক খুলে ফেলে বিমানে ২৫ মিনিট ধরে দাপাদাপি মহিলা যাত্রীর, ভাইরাল ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: ‘বছরে একবার আসে হোলি, জুম্মার নমাজ ৫২ বার…’, পুলিশ আধিকারিকের মন্তব্যে বিতর্ক
চিনের চলমান সংসদীয় অধিবেশনে ওয়াং বলেন, কাজান বৈঠকে শি এবং মোদী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য কৌশলগত নির্দেশনা দিয়েছেন। ওয়াং আরও বলেন, 'এশিয়ার দু'টি বৃহত্তম অর্থনীতি যদি হাত মেলায়, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে গণতন্ত্র থাকবে। গ্লোবাল সাউথের উন্নয়নের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে।' তিনি বলেন, সীমান্ত সমস্যার প্রভাব উভয় দেশের সম্পর্কে পড়তে দেওয়া উচিত হবে না। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ঘূর্ণি পিচে নাহিদরা ব্যাট করতে নামার আগেই 'আউট' দলের ৩)
প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়ায় ২০২৪ সালের ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার আগেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ঘোষণা করে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের টহলের অধিকার মেনে নিয়েছে চিন। এই আবহে প্রায় পাঁচ বছর পরে লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি নিয়ে জট কাটে। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়, এই দুই জায়গায় ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে। এই আবহে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ভারত ও চিন। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগে যেখানে যার অবস্থান ছিল, প্রায় সেখানেই ফিরে গিয়েছে ভারত ও চিনা সেনার জওয়ানরা। এই আবহে লাদাখে পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক। (আরও পড়ুন: 'ভালোবাসা রইল', স্ত্রী ও তাঁর মাসিকে দায়ী করে হোটেল ঘরে আত্মঘাতী যুবক)
আরও পড়ুন: PoK চুরি নিয়ে জয়শংকরের ফোড়নে তীব্র বদহজম পাকিস্তানের, ঢেকুর তুলে বলল...
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন চিনা পণ্যের ওপর বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। আর এই নিয়েই আমেরিকার ওপরে খাপ্পা চিন। ফেন্টানিল ইস্যুতে কানাডার পাশাপাশি চিনের ওপরও শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত চিনা দূতাবাস বলে, যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিই ফেন্টানিল সমস্যার সমাধান করতে চায়, তাহলে তাদের উচিত একে অপরকে সমান চোখে দেখে চিনের সঙ্গে এই নিয়ে পরামর্শ করা। যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধ চায়, শুল্ক যুদ্ধ হোক, বাণিজ্য যুদ্ধ বা অন্য যেকোনও ধরনের যুদ্ধ হোক, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত। এই আবহে আমেরিকা ভারতের ওপরও প্রতিশোধমূলক শুল্ক চাপাতে চলেছে। আর এহেন পরিস্থিতিতে বাণিজ্য যুদ্ধদে ভারতকে পাশে চাইছে চিন।