ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার চিত্রা রামকৃষ্ণকে জেরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের। ২০১৮ সালের একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মুম্বইয়ের বান্দ্রা কুরলার অফিসে তাকে জেরা করা হয় বলে সূত্রের খবর। এদিকে অভিযুক্তরা কেউ যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেকারণে রামকৃষ্ণা, আনন্দ সুব্রহ্মমণিয়ম, রবি নারায়ণ সহ এনএসইর পদস্থ কর্তাদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশও জারি করা হয়েছে।এদিকে সম্প্রতি রামকৃষ্ণানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি এনএসইর গোপন তথ্য অপর একজনকে শেয়ার করেছেন। আর যাকে তিনি শেয়ার করেছেন তিনি নাকি হিমালয়ে সাধনারত এক যোগী। এদিকে এই ঘটনায় সেবি চিত্রা রামকৃষ্ণাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করে। এদিকে সেবির নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২০১৪-১৬ সাল পর্যন্ত চিত্রা একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই যোগীর কথায় প্রভাবিত হয়ে। আর সেই যোগী নাকি তার সঙ্গে ইমেলে যোগাযোগ রাখতেন। এদিকে তদন্তে নেমে এনএসই জানতে পারে, ওই মেলগুলি করতেন এনএসইর পদস্থ কর্তা আনন্দ সুব্রহ্মমণিয়ম। তিনি যোগীর নাম দিয়ে চিত্রাকে ভুল বোঝাতেন।এদিকে সেবি তদন্তে নেমে নারায়ন ও সুব্রহ্মমণিয়ম দুজনকেই ২ কোটি টাকা করে জরিমানা করেছে। এদিকে সুব্রহ্মমণিয়ম আবার চিত্রার প্রিয় বান্ধবীর স্বামী। অন্যদিকে ২০১৮ সালে দিল্লির একটি বেসরকারি কোম্পানির বিরুদ্ধে ও এনএসইর একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কারণটা হল, অবৈধভাবে ওই কোম্পানি এনএসইর ঘরের তথ্য জেনে সকলের আগে এক্সেচেঞ্জের সার্ভারে লগ ইন করছে। পরে সিবিআই জানতে পারে, ওই বেসরকারি কোম্পানি তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সেবির আধিকারিকদেরও ঘুষ দিয়েছিল বলে অভিযোগ।