চন্ডীগড়ে সিবিআই আদালত হিমাচল প্রদেশের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ জাহুর হায়দার জাইদি ও সাতজন পুলিশ আধিকারিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। শিমলার কোটখাইতে ১৬ বছর বয়সি এক ছাত্রীকে ২০১৭ সালে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ধৃত এক অভিযুক্তের হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনার জেরে এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
এই দোষী পুলিশ আধিকারিকদের মধ্য়ে অন্য়তম তৎকালীন ডিএসপি মনোজ যোশী, সাব ইনস্পেক্টর রাজিন্দর সিং, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর দীপ চাঁদ শর্মা, হেড কনস্টেবল মোহন লাল, সুরত সিং, রফি মহম্মদ। সেই সঙ্গেই কনস্টেবল রঞ্জিত সাতেলা।
এই সাজা ঘোষণার শুনানির সময় এই সাজাপ্রাপ্তরা তাদের বয়স, পারিবারিক দায়িত্ব, গুড সার্ভিস রেকর্ডের কথা তুলে ধরেন। আদালত প্রতি সাজাপ্রাপ্তকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি স্পেশাল সিবিআই কোর্ট সুরযের এই কাস্টডিয়াল ডেথ নিয়ে আটজন পুলিশ আধিকারিককে সাজা ঘোষণা করেছিল। ওই সুরযকে ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই কোটখাই থানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। একাধিক ধারায় ওই পুলিশ আধিকারিকদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
সুরযের মৃত্যুর পরেই এই মামলা শুরু হয়েছিল। সুরযের বিরুদ্ধে ১৬ বছর বয়সি এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ করা হয়েছিল।
২০১৭ সালের ৪ জুলাই ওই কন্যা নিখোঁজ হয়ে যান। দিন দুয়েক পরে তার দেহ মেলে। এরপর পোস্ট মর্টেমে বলা হয় তাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। এরপরই মামলা শুরু হয়।
এরপর জাইদির নেতৃত্বে একটি স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম তৈরি হয়। রাজ্য সরকার এই টিম তৈরি করেছিল। এরপর এসআইটি ৬জনকে গ্রেফতার করে, তার মধ্যে সুরযও ছিল। এরপর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল তার। পুলিশ প্রথম দিকে অপর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল।
হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট পরে উভয় মামলাই সিবিআইকে তদন্তের জন্য দেয়। এরপর তদন্তের পরে সিবিআই জাইদিকে গ্রেফতার করেছিল। সিবিআই একাধিক অভিযোগে ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। তার মধ্য়ে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, খুন, মিথ্যে প্রমাণ হাজির করা, অত্য়াচার করা স্বীকারোক্তির জন্য় এমন নানা অভিযোগ করা হয়।
২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি শিমলা থেকে চন্ডীগড়ে স্থানান্তরিত করে।