এবারের লোকসভা ভোটে রাজস্থানে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে এবার বিজেপির রাজস্থান রাজ্যে সংগঠনে কিছু রদবদল হতে পারে। ২০১৪ সালে ও ২০১৯ সালে বিজেপি এই রাজ্য়ে মোটের উপর ভালো ফল করেছিল। তবে এবার আর সেভাবে ভালো ফল করতে পারল না বিজেপি। এবার বিজেপি ১৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। ৮টি আসন গিয়েছে কংগ্রেসের দিকে।
এদিকে কয়েকমাস বাদেই আসছে পুরসভার ভোট। সেক্ষেত্রে এখনই যদি সংগঠনগত রদবদল না হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে। সেকারণে সবদিক খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে চিতোরগড়ের এমপি সিপি যোশীকে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে সামনে আনা হয়েছিল। কিন্তু তিনি দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কতটা সমর্থ হয়েছিলেন সেটা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তিনি আদৌ দলকে কতটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন, কতটা তিনি দলকে সংগঠিত করে রাখতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে দলের রাজ্য সভাপতি এবার ভোটে লড়েছিলেন। বাংলার মতোই পরিস্থিতি। কিন্তু সিপি যোশীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে তিনি গোটা রাজ্য জুড়ে ঘুরে দলকে ঠিকঠাক করে সংগঠিত করতে পারেননি। যার প্রভাব দলের ফলাফলে পড়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে এবার যোশীকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন, এবার সংগঠনগতভাবে রদবদল হতে পারে। ওই বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, কেন এমন ফলাফল হল সেটা খতিয়ে দেখা হবে। তবে এখানে কার দায় রয়েছে সেটা দল ঠিক করবে। এরপর সংগঠনকে আরও জোরদার করা হবে। আর কয়েকমাস পরেই পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোট হবে। সেক্ষেত্রে সেখানে ভালো ফল করতেই হবে। না হলে রাজ্য জুড়ে একটা খারাপ প্রভাব পড়বে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মিথিলেশ জয়মিনি জানিয়েছেন, যে প্রচার হয়েছিল তার জেরে এসসি, জাঠ, গুজ্জর, মিনা ভোট সরে যায় বিজেপির পাশ থেকে।