হাতের রেখাগুলির বিভিন্ন আকৃতি আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলে দিতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্রে তাই সুপ্রাচীনকাল থেকেই হাতের রেখার অসীম গুরুত্ব। হাতের বিভিন্ন আঙুলের আকার ও রেখার গড়নই আমাদের ভাগ্য নির্ণয় করে থাকে। পাশাপাশি সুখ, সমৃদ্ধি ও সম্পদ ভবিষ্যতে কতটা হতে পারে, তারও জানান দিয়ে থাকে এই বিশেষ রেখা। হাতের রেখার মতোই গুরুত্বপূর্ণ হল হাতের আঙুল। আঙুলের কিছু বিশেষ গড়নই বলে দিতে কপালে অর্থসুখ কতটা রয়েছে।
আরও পড়ুন - পুরীর জগন্নাথধামের এই ৩ রহস্য আজও কৌতুহলী করে ভক্তদের, বিজ্ঞানেও মেলেনি ব্যাখ্যা
হাতের আঙুল দেখে অর্থভাগ্য গণনার পদ্ধতি
১. কোনও ব্যক্তির ভাগ্য নির্ধারণ করে তাঁর ভাগ্যরেখা। হাতের শেষ ভাগ অর্থাৎ মণিবন্ধ থেকে শুরু হয়ে এই রেখা যদি শনি পর্বতে গিয়ে শেষ হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি অত্যন্ত ভাগ্যশালী হন। জীবনের প্রতিটি সুখ তিনি লাভ করেন। চাকরি ও ব্যবসা দুই ক্ষেত্রেই তিনি উন্নতিলাভ করেন।
২. হাতের মাঝের আঙুলটিকে বলা হয় মধ্যমা। মধ্যমার নীচে শনি পর্বত অবস্থান করে। যদি এই পর্বত উঠে থাকে, তাহলে তা অত্যন্ত শুভ। এমন ব্যক্তি জীবনে অর্থবান হন। তিনি সমাজে যথার্থ মান-সম্মান পেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন - রাত পোহালেই চন্দ্র, সূর্য একযোগে বর্ষণ করবেন কৃপা!সুখের ফোয়ারা ৩ রাশিতে
৩. শনি পর্বতের নিচের রেখা বলে দিতে পারে একজনের জীবনে অভাব থাকবে কি না। মধ্যমা অঙ্গুলির নীচে যেখানে শনি পর্বতের অবস্থান, সেখানে দুটি লম্বা রেখা দেখা দিলে এমন ব্যক্তির জীবনে কোনও অভাব থাকে না।
৪. একজন ব্যক্তির ভাগ্য জানান দেয় তার হাতের আঙুল। কোনও ব্যক্তির হাত ভারি বা আঙুল কোমল ও লম্বা হলে, তিনি অর্থবান হন।
৫. হাতের উপর যদি ত্রিকোণাকৃতি চিহ্ন থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী হন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।