পাকিস্তানের রেঞ্জার্সের হাতে আটক বিএসএফ জওয়ান। তিনি হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা। পূর্ণম কুমার সাউ। এদিকে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার তদ্বির করতে পাঠানকোট যাওয়ার জন্য হুগলির বাড়ি থেকে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী রজনী সাউ। তবে এবার কলকাতায় ফিরছেন তিনি।
অমৃতসর থেকে কলকাতায় বিমানে ফিরছেন তিনি। বিএসএফের আধিকারিকরা তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে পূর্ণমকে যাতে ফিরিয়ে আনা যায় সেকারণে সবরকম চেষ্টা করছে বিএসএফ। তবে অমৃতসরে তাঁর স্ত্রী থেকে বাড়তি কিছু হবে না। সেকারণে তিনি কলকাতায় ফিরে আসছেন।
গত বুধবার পাকিস্তানি রেঞ্জার্সরা আটক করেছিল ওই বিএসএফ জওয়ানকে। এরপর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন বলে খবর। তাঁকে ফেরাতে নানা চেষ্টা করা হচ্ছে। এসবের মধ্য়েই বিএসএফ আধিকারিকরা রিষড়ার বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এরপর তাঁর স্ত্রী অমৃতসরের দিকে রওনা হয়েছিলেন। এবার সেখান থেকে ফিরছেন তিনি। আশ্বাস পাওয়ার পরেই ফিরছেন তিনি।
অমৃতসর থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর বিমানে চড়ার আগে তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, ফিরোজপুরে বিএসএফের কমান্ডিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করে তিনি আশ্বস্ত হয়েছেন।
তিনি ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অফিসাররা আমাকে বলেছেন পাক রেঞ্জার্সদের সঙ্গে কথাবার্তা চালানো হচ্ছে। একটা সমাধান মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে তাঁর স্বামী নিরাপদে রয়েছেন। তিনি সম্ভবত ফিরে আসবেন।
বিএসএফের তরফে রজনীর যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছেলে, বোনেরা ও অপর আত্মীয় রয়েছেন। তিনি প্রথমে পাঠানকোট গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরোজপুর। মূলত তিনি জানতে চাইছিলেন স্বামী কেমন আছেন।
পাকিস্তান থেকে ওই বিএসএফ জওয়ানকে ছাড়িয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বিএসএফ। নানা স্তরে আলোচনা হচ্ছে। ওই বিএসএফ জওয়ান যাতে নিরাপদে ফিরে আসে তার সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাংলার ওই জওয়ান যাতে নিরাপদে ফিরে আসেন সেটা চাইছেন সকলেই।
এদিকে বিএসএফের তরফে তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে দ্রুত ভালো কোনও খবর মিলতে পারে। এই আশ্বাস পাওয়ার পরেই তিনি ফিরে আসেন।
এর আগে ওই বিএসএফ জওয়ানের ছোট্ট সন্তান জানিয়েছিল, মহাদেবের কাছে বললাম বাবাকে ফিরিয়ে দাও। বাবা যেন ফিরে আসে। বাবা আমার জন্য গতবার খেলনা এনেছিল। মহাদেবের কাছে বললাম বাবাকে ফিরিয়ে দাও। বার বার বলছি পাকিস্তান আমার বাবাকে ছেড়ে দাও। আর তো কিছু তোমাদের কাছে চাইছি না। আমার বাবাকে আমি চাই। আমার বাবাকে আমি চাই।