হাড়হিম ঘটনা নদিয়ার শান্তিপুরে! দাম্পত্য কলহের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর ধড় থেকে মুন্ডু কেটে আলাদা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে খুনের পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় শান্তিপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুটোপুটি তলা এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে তাঁর মেয়ে।
আরও পড়ুন: গড়ফায় বন্ধুকে খুনের অভিযোগে ৮ বছর জেল খাটার পর বেকসুর খালাস যুবক, ভর্ৎসিত পুলিশ
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বুদ্ধদেব সরকার। মঙ্গলবার রাতে তিনি স্ত্রী শ্রাবণী সরকারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। তাঁদের একমাত্র নাবালিকা মেয়ে টিউশনে গিয়েছিল। টিউশন থেকে বাড়ি ফিরে এসে দেখে রক্তের গঙ্গা বইছে ঘরে। পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত বটি। আর তারপরেই খাটের নিচে মায়ের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পায়। মুণ্ড ধড় থেকে আলাদা ছিল। তা দেখা মাত্রই চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে ওই নাবালিকা। মেয়ের চিৎকারে ছুটে আসে স্থানীয়রা।
অভিযুক্তের মেয়ের অভিযোগ, বাবা বুদ্ধদেব প্রায়ই তার মায়ের সঙ্গে অশান্তি করতেন। এছাড়াও আইপিএল বেটিং-সহ বিভিন্ন ধরনের গেমে আসক্তি ছিল তার বাবার। তা নিয়ে প্রতিবাদ করতেন মা। সম্প্রতি তার বাবা গেমের নেশায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন। তা নিয়ে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলত। তার জেরেই এই খুন বলে অভিযোগ মেয়ের।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। তারা দেহ উদ্ধার করে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। অন্যদিকে, স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত বুদ্ধদেব সরকার। মাকে এমন নৃশংসভাবে খুনের জন্য বাবার শাস্তির দাবি জানিয়েছে মেয়ে।
সে জানায়, ‘মাকে যেভাবে নৃশংসভাবে খুন করেছে বাবা, তার জন্য বাবার যাতে ফাঁসি হয়, সেই ব্যবস্থা করুক পুলিশ প্রশাসন।’ জানা গিয়েছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রানাঘাট পুলিশ জেলার এসডিপিও সহ পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। এরপর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা। কী কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটল? তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে গোটা পরিবারের এখন একটাই দাবি, অভিযুক্তকে ফাঁসি দিতে হবে। যদিও খুনের রহস্য উদঘাটন করতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।