প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র কেন্দ্রের তরফে 'ব্লক' করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এই নিয়ে এবার বিজেপি সরকারকে তোপ দাগল কংগ্রেস। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক (কমিউনিকেশনস) জয়রাম রমেশ প্রশ্ন করলেন, 'কেন মোদীকে রাজধর্ম মনে করিয়েছিলেন তৎকালীন (গুজরাট দাঙ্গার সময়) প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী।' প্রসঙ্গত, ভারতে সম্প্রচারিত বিবিস ওয়ার্ল্ডে প্রদর্শিত হয়নি ওই তথ্যচিত্র। তবে ইউটিউবে এই তথ্যচিত্রটি আপলোড করা হয়েছিল। কেন্দ্রের তরফে নির্দেশে ইউটিউবকে ওই পর্বের ভিডিয়ো ব্লক করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও এই সম্পর্কিত টুইট ব্লক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই তথ্যচিত্রকে 'মিথ্যে প্রচার' বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'কে শাহরুখ' প্রশ্ন করা হিমন্তকে রাত ২টোর সময় ফোন কিং খানের, কী কথা হল দু'জনের?)
এই নিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইনচার্জ কমিউনিকেশনস জয়রাম রমেশ টুইটারে লেখেন, 'প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর ড্রামাররা দাবি করেছেন যে তাঁর উপর নতুন বিবিসি ডকুমেন্টারি নিন্দনীয়। সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছে। তাহলে কেন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী ২০০২ সালে তাঁকে সরাতে চেয়েছিলেন? শুধুমাত্র আডবাণীর পদত্যাগের হুমকির চাপেই সেই পদক্ষেপ করেননি তিনি।' এই টুইটের সঙ্গে জয়রাম ২০০২ সালের মোদী, বাজপেয়ীর একটি ভিডিয়োও আপলোড করেন। সেই ভিডিয়োতে মোদীকে পাশে বসিয়ে বাজপেয়ীকে 'রাজ ধর্মে'র কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। এর আগে শুক্রবার কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল বলেন, '২০০২ সালের ২১ বছর পর আজও সত্যিকে ভয় পায় বিজেপি।'
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে এই তথ্যচিত্র ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে সম্প্রতি ব্রিটিশ সংসদে মুখ খুলেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বিবিসির তথ্যচিত্রে মোদীর 'চরিত্রায়ণে'র সঙ্গে সহমত নন তিনি। উল্লেখ্য, বিবিসির তথ্যচিত্রে নরেন্দ্র মোদীকে নেতিবাচক চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে। ২০০২ সালে যখন গুজরাটের দাঙ্গা হয়েছিল, সেই সময় সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে মোদীকে নিশানা করা হয় বিবিসির তথ্যচিত্রে। এই তথ্যচিত্রটি নিয়ে ইউটিউব ও টুইটারে যে ভিডিয়োগুলি শেয়ার হয়েছে, সেগুলি ব্লক করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক শুক্রবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়। ২০২১ সালের তথ্য-প্রযুক্তি আইনের আওতায় এই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক