
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
কয়েকদিন আগেই ভারতে এসে বাংলাদেশে হিন্দু অত্যাচার ইস্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মার্কিন ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স তুলসি গ্যাবার্ড। তবে তুলসির সেই মন্তব্যে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছিল মহম্মদ ইউনুসের সরকার। তুলসির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছিল ঢাকা। শুধু তাই নয়, ঢাকায় অবস্থিত ফরাসি দূতাবাসে নিযুক্ত বাংলাদেশিদের দিয়ে তুলসির বিরুদ্ধে বিবৃতি পোস্ট করানো হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার জেরে চাকরি গিয়েছিল সেই অভিযুক্ত বাংলাদেশিদের। এত কিছু করলেও কাজের কাজ করেনি ইউনুস। ফের একবার বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দু এক পরিবার। এই আবহে আঙুল উঠেছে বিএনপির দিকে। (আরও পড়ুন: ক্রমেই গরম বাড়বে কলকাতায়, এরপর বাংলার কোথায় আর কবে বৃষ্টি হবে?)
আরও পড়ুন: নাগপুর হিংসার ‘মূলচক্রী’ ফাহিম খানের বাড়িতে বুলডোজার চালাল পুরসভা
অভিযোগ, সিলেট শহরে একটি হিন্দু বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয় সম্প্রতি। শুধু তাই নয়, সেই পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই আবহে শিলেট এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এক বিএনপি নেত্রীর নামে। অভিযোগকারী অসীম কুমার দাসের দাবি, সিলেট মহানগর মহিলা দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তথা ৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের সভাপতি জেসমিন বেগম ও তার ভাই কামাল আহমেদ তাদের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়িতে ইট ছোড়া হয়। হকিস্ট্রিক ও কাঠের স্কেল দিয়ে অসীমবাবুর মা-বাবাকে মারধর করা হয়। বাড়ি খালি করতে হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস দাবি করেন, তারা হিন্দু পরিবারের পাশে আছে। ৫ সদস্যের দলীয় তদন্ত কমিটি গঠনেরও কথা বলেন তিনি। (আরও পড়ুন: সেনা প্রধান নিয়ে 'সারজিস বনাম হাসনাত' বিতর্কে পুড়েছে মুখ, ক্ষমা চাইল নাহিদের দল)
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে শিলেট ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মিলন দাবি করেন, অসীমের বাড়িতে এর আগেও একাধিকবার হামলা চালিয়েছেন এই বিএনপি নেত্রী। এর আগে অসীমবাবুর ঘর ভেঙে নাকি এর আগে জায়গা দখল করেছিল এই নেত্রী। এখন অসীমকে পুরোপুরি বাড়িছাড়া করতে উঠে পড়ে লেগেছে সেই নেত্রী। এদিকে চা বাগানের জায়গাতে বেআইনি ভাবে দেওয়াল তোলরও অভিযোগ সেই বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে সেই চা বাগানের ম্যানেজার রিঙ্কু চক্রবর্তী জানান, স্থানীয়দের নিয়ে সেই বেআইনি দেওয়াল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পরে সেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পূজা উদযাপন ও ঐক্য পরিষদ নেতারা।
উল্লেখ্য, হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসছে। ২০২৪ সালের অগস্ট থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল 'আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র'। তবে কয়েক মাস যাওয়র পরও সেই দেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার থামেনি। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছিল। 'জুলাই বিল্পবের' ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সারজিস আলম চট্টগ্রামে ইসকন এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন সম্প্রতি। এই আবহে ভারতের রাস্তাতেও লোক নেমেছিল। বাংলাদেশি মৌলবাদে বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে এখানে। ভারত সরকারও একাধিক বিবৃতি প্রকাশ করে ওপারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাম্প্রতিক সময়ে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports