গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। আরও এক ৫ অগস্ট আসতে চলল। এরই মাঝে সেদেশে নির্বাচন নিয়ে ক্রমণ চাপ বাড়ছে মসনদে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর। আর সেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস। মহম্মদ ইউইনুসের বাংলাদেশে এবার সশস্ত্র বাহিনীর ৩ প্রধান সহ বিশিষ্ট তালিকায় থাকা ১৪ পদে নিয়োগের বিষয়ে বড় প্রস্তাব এল সেদেশর জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের তরফে।
বাংলাদেশের তিন সশস্ত্র বাহিনী অর্থাৎ, সেনা বাহিনী, বায়ুসেনা, নৌসেনার প্রধান এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই) ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) মহাপরিচালক সহ মোট ১৪ পদে নিয়োগ যাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির হাতে রাখা হয়, তার পক্ষে সওয়াল করেছে বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যমত কমিশন। বাংলাদেশের এই কমিশনের প্রস্তাব প্রসঙ্গে সেদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে, বুধবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নিয়ে একটি ধারণাপত্র তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে দিয়েছেন। বাংলাদেশে বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, সেদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কেবল প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই পদগুলি ছাড়াও কমিশন, আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের পক্ষে সওয়াল করেছে ঐক্যমত কমিশন।
( Indian Railways News:দক্ষিণ পূর্ব রেলের এই ডিভিশনটির বহু ট্রেনে বাড়ছে কোচ, তালিকায় কোন কোন ট্রেন?)
বাংলাদেশের তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগের ক্ষমতার বিষয়টির পাশাপাশি আরও ৯টি নিয়োগের ক্ষমতা সরাসরি সেদেশের রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। যে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এই প্রস্তাব এসেছে, সেই পদগুলি হল- অ্যাটর্নি জেনারেল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ও সদস্য। বাংলাদেশে নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে তুঙ্গে চর্চার মাঝেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই পদগুলিতে নিয়োগ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সবপক্ষ রাজি হলে সেদেশের সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে বিষয়টি কার্যকর করতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায়, সেদেশের আইনসভার উভয় কক্ষের (জাতীয় সংসদ ও উচকক্ষ) সদস্যদের গোপন ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে সব দল একমত পোষণ করেছে।