
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ছাত্রদের নতুন দলে যোগদানের জন্য সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের উপদেষ্টার পদে ছিলেন নাহিদ। এখন তাঁর ছেড়ে যাওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রের উপদেষ্টা হতে পারেন মহম্মদ ইউনুসের 'ডান হাত' মাহফুজ আলম। এমনই দাবি করা হয়েছে কালের কণ্ঠের রিপোর্টে। এর আগে আমেরিকায় ক্লিন্টন ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে মাহফুজকে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের 'মাথা' বলে আখ্যা দিয়েছিলেন ইউনুস। এদিকে তথ্য উপদেষ্টার পদে থাকা ব্যক্তিই বাংলাদেশ সরকারের 'মুখপাত্র' হিসেবে কাজ করেন। এই আবহে ইউনুসের সরকারে মাহফুজের গুরুত্ব আরও বাড়তে পারে বলে জল্পনা চলছে। এর আগে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের একাধিক সাংবদিক সম্মেলনে মাহফুজকে বক্তব্য রাখতে শোনা গিয়েছিল। এই আবহে তিনি এমনিতেও সরকারে নিজের গুরুত্ব জাহির করেছেন। (আরও পড়ুন: 'উদ্বেগ' প্রকাশ করে ইউনুসকে চিঠি রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের, ঢাকায় যাচ্ছেন ১৩ মার্চ)
আরও পড়ুন: যেন ফিরল ৫ অগস্টের স্মৃতি, এবার ইউনুসের অফিস ঘিরলেন 'হাসিনা বিরোধীরা'
এদিকে হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই বাংলাদেশের বহু নেটিজেন এবং রাজনীতিবিদ ভারত দখল নিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। এই নিয়ে অনেকেই অনেক আলটপকা মন্তব্য করেছেন। তবে এরই মাঝে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি পোস্ট ঘিরে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। ভারতের একাধিক রাজ্য মিলিয়ে 'অখণ্ড বাংলাদেশ' গড়ার ডাক দিয়েছিলেন মাহফুজ। তাঁর সেই পোস্ট ঘিরে অবশ্য বিতর্ক শুরু হয় বাংলাদেশেই। কারণ প্রতিবেশী দেশের জমি দখল করার এই বার্তা দেওয়া ব্যক্তি মহম্মদ ইউনুসের 'ডান হাত'। সেই মাহফুজ আলমকে এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্লিন্টন ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে নিয়ে গিয়েছিলেন ইউনুস। মাহফুজকেই 'বিপ্লবের মাথা' আখ্যা দিয়েছিলেন ইউনুস। এহেন 'মাথা' যখন প্রতিবেশী দেশ দখলের কথা বলে, তখন তা নিয়ে বিতর্ক হওয়াই স্বাভাবিক। আর এহেন মাহফুজ এবার হতে পারেন সেই দেশের তথ্য উপদেষ্টা। (আরও পড়ুন: কানাডার 'চোখ' বন্ধ করতে চায় USA! নিজ্জরকাণ্ডে এই 'দৃষ্টিই ছিল ট্রুডোর হাতিয়ার')
এর আগে মাহফুজের সেই বিতর্কিত পোস্টে লেখা ছিল, 'বিজয় এসেছে, তবে সামগ্রিক নয়। মুক্তি এখনও বহুত দূরে। হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত জনপদ পুনরুদ্ধার ব্যতিত পোকায় খাওয়া পূর্ব পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশ নিয়ে আমরা মুক্তিকে ছুঁতে পারব না। এ রাষ্ট্রের জন্মদাগ তথা ভারত নির্ভরতা ও ভারতের আধিপত্য মুক্ত রাখতে ৭৫ আর ২৪-র ঘটনা ঘটাতে হয়েছে। দুই ঘটনার ব্যবধান ৫০ বছর। কিন্তু আদতে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। নতুন ভূগোল ও বন্দোবস্ত লাগবে। একটি খণ্ডিত ভূমি, একটা জন্মদাগ নেওয়া রাষ্ট্র দিয়ে হয় না।' এরপর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি, সেভেন সিস্টার্স অর্থাৎ ত্রিপুরা, মণিপুর সহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিকে দখল করে অখণ্ড বাংলা তৈরির কথা বলেছিলেন মাহফুজ আলম। তাঁর কথায়, এই ম্যাপ তৈরি না হলে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন হবে না। পরে অবশ্য বিতর্কের মুখে নিজের সেই পোস্ট মুছে দিয়েছিলেন মাহফুজ আলম।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports