পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানায় প্রাণ গিয়েছে শুভম দ্বিবেদীর। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর কফিনবন্দি নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কানপুরের মহারাজপুরে তাঁর পৈত্রিক বাড়িতে। গোটা পরিবার শোকে পাথর। সন্তানকে খুন করেছে জঙ্গিরা। এবার বদলার ডাক দিলেন শুভমের পিতা সঞ্জয় দ্বিবেদী। তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেন সন্তানকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে।
তিনি জানিয়েছেন, সরকার এমন ব্যবস্থা নিক যে এই জঙ্গিদের পরবর্তী সাত প্রজন্ম কারোর বিরুদ্ধে হাত তোলার আগে দুবার ভাববে। কীভাবে জঙ্গিরা তার বৌমাকে ছেড়ে দিয়েছিল আর তার আগে তারা কী বলেছিল সেটা তিনি জানান।
তিনি বলেন, জঙ্গিরা বলেছিল তোকে জীবন্ত ছেড়ে দিলাম কারণ মোদীকে খবরটা দিয়ে দে। ওরা ভীতু। ওরা ভারত সরকারকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। এই জবাব দিতেই হবে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই ক্ষতির পূরণ হবে না। তবে বার্তাটা খুব পরিস্কার। যারা আমাদের নাগরিকদের খুন করেছে তাদের ফল ভুগতেই হবে।
পহেলগাঁওতে যারা মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্য়ে অন্যতম এই পর্যটক। শুভম দ্বিবেদী। ৩০ বছর বয়স। স্ত্রীর সামনে তার মাথায় গুলি করা হয়েছিল। চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে হয়েছিল। এরপর তারা কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বিয়ের পরে এটা তাদের প্রথম সফর ছিল। আর সেখানেই এই ভয়াবহ ঘটনা।
বৈসরন উপত্যকায় ছিলেন তারা। এটা মিনি সুইজারল্যান্ড বলেও পরিচিত। শুভমের পারিবারিক ব্যবসা ছিল। সেটাই সামলাতেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের একমাত্র শুভমই মারা গিয়েছেন বলে খবর।
পহেলগাঁওতে বেড়াতে গিয়েছিলেন পর্যটকরা। সেখানেই পরপর গুলি। একেবারে বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছে পর্যটকদের। ক্ষোভ ফুঁসছে গোটা দেশ। বিভিন্ন মহল থেকে উঠছে বদলার ডাক। পরিবারগুলি হারিয়েছে তাদের প্রিয়জনকে। বাবা মা, স্ত্রী সন্তান হারিয়েছে তাদের প্রিয়জনকে। সেই ক্ষতি কোনও দিন পূরণ হওয়ার নয়। এসবের মধ্য়েই একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার। কার্যত আরও কোণঠাসা পাকিস্তান।
তবে এসবের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে কী দোষ করেছিলেন পর্যটকরা। কাশ্মীরের অন্দরেও এই প্রশ্ন উঠছে। পর্যটনের প্রসার ঘটছিল কাশ্মীরে। আর্থ সামাজিক দিক থেকে লাভবান হ্চছিল কাশ্মীর। আর সেই সময় বিরাট আঘাত হানল জঙ্গিরা। তবে অত্যন্ত কড়া অবস্থান নিচ্ছে বলে খবর।