সু চি-র জেলের মেয়াদ বেড়ে হল ২৬ বছর। ঘুষ নেওয়ার অপরাধে তার সাজা আরও তিন বছর বাড়ানো হল। এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সু চি ঘুষ নিয়েছিলেন, এই অপরাধে তাকে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড শোনালো মিয়ানমারের সেনা সরকার। এর ফলে তার কারাদণ্ডের মেয়াদ বেড়ে হলো ২৬ বছর। এর আগে দুর্নীতি, করোনাবিধি লঙ্ঘন, ভোটে কারচুপি, দেশদ্রোহ-সহ একাধিক মামলায় ২৩ বছরের কারাদণ্ড শুনিয়েছিল মিয়ানমারের আদালত। সু চি এখনো জেলে বন্দি।দেশের গণতান্ত্রিক সরকার সরিয়ে সেনা ক্ষমতা নেওয়ার পরেই ৭৭ বছরের সু চি-কে নিজেদের হেফাজতে নেয় সেনা। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। নোবেল বিজেতা সু চি-র বিরুদ্ধে ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। যে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি এই ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, তার নাম মউং ওয়েইক। এই অভিযোগেই তার বিরুদ্ধে তিন বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে।সু চি-র বিচারও গোপন জায়গায় করা হয়েছে। বিচারকক্ষে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এখনও ১৮টি মামলা রয়েছে তার নামে। প্রতিটি মামলায় অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে ১৯০ বছর পর্যন্ত তার কারাদণ্ড হতে পারে। যদিও দেশের গণতন্ত্রপন্থি এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চ সু চি-র এই শাস্তির তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য, বিচারের নামে প্রহসন চালাচ্ছে মিয়ানমারের সেনা সরকার।