অমিতাভ কান্ত। তাঁর একটি বই সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। সেই বইয়ের নাম 'Power within, The leadership Legacy of Narendra Modi', সেই বইতে একাধিক অজানা কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহলয়তে এই বইয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। নীতি আয়োগের এই প্রাক্তন সিইও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত আলাপচারিতার নানা দিক তুলে ধরেছেন।
সেই বইতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩-এর জি২০ সামিট হয়েছিল ভারতে। সেই সময় আবার রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে একটা যুদ্ধের পরিস্থিতি। সেই সময় প্রায় ৩০০ ঘণ্টার আলোচনা আর ১৬টা ড্রাফ্ট হয়েছিল। প্রতি দুঘণ্টা অন্তত রিপোর্ট নিতেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী কীভাবে সকলের সম্পর্কের মধ্য়ে একটা ভারসাম্য বজায় রাখা হয়েছিল। আমেরিকা ও চিনের চাহিদার কথাটাও, তাদের সম্পর্কের ব্যাপারটাও মাথায় রাখা হয়েছিল।
তিনি লিখেছেন, 'সকাল ৮টা নাগাদ ভারত মণ্ডপমে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আমি গোটা প্রক্রিয়াটি তাঁকে বলি। তিনি আমাকে মাঝপথে থামিয়ে দেন। বলেন যে ফলাফলটা কী হল। আমি তাঁকে ক্লিয়ার করলাম। তিনি সবটা বুঝে গেলেন। তিনি একটা ঐক্যমত চাইছিলেন। একটা যৌথ ঘোষণা, না হলে ভারত জি ২০ থেকে বেরিয়েও আসত।'
এদিকে 'যৌথ ঘোষণার আগে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ভারত শেষ পর্যন্ত অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলেন। এটা কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা সম্ভব হয়েছিল। '
পিরামাল গ্রুপের অজয় পিরামাল জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে যখন প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল তখন তিনি পাঁচ ঘণ্টা ধরে অর্থনীতিবিদ ও শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল ভারতের পরিস্থিতি ও আগামী দিনে ভারতকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব সেটা সম্পর্কে জানা। তিনি জানিয়েছেন, অনেকে এই ম্যারাথন আলোচনা থেকে কিছুটা গ্যাপ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মোদী কোনও বিরতি নেননি।
NASSCOM -এর চেয়ারম্যান দেবযানী ঘোষ প্যানেল ডিসকাসনে জানিয়েছেন, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার কীভাবে ভারতের নানা দিককে বদলে দিয়েছে। গুগল, পেটিএম এখন বেশ খুশি খুশি ভাবে অংশ নিতে পারে। এমনকী নোট বদলের পরে আমি একটা ডাক পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যে ডিজিটাল পেমেন্টের উপর এবার জোর দিন। তিনি বলেছিলেন, ১০০ দিনে ১০০ শহরে ১০০টা ডিজিটাল মেলার আয়োজন করুন। কিন্তু এটা খুব কঠিন ছিল। আমি বার বার বলতে চাইতাম। তিনি শুনতে চাইতেন না। তবে তাঁর সেই দিশার জন্যই কিন্তু আজ ডিজিটাল ভারত…