নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে প্যারাসিটামল-সহ ২৬টি ফার্মাকিউসিটিকাল উপাদান ও তার থেকে তৈরি ওষুধ রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল কেন্দ্র।নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি দেশবাসীকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, আগামী ২-৩ মাসের জন্য যথেষ্ট ওষুধ দেশে মজুত রয়েছে।নিষিদ্ধ তালিকায় প্যারাসিটামল ছাড়াও যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক্স, হরমোন প্রজেস্টেরোন এবং ভিটামিন বি১২ জোগানকারি ওষুধ।ভারত রফতানি বন্ধ করলে যে সমস্ত দেশ তার উপরে ওষুধের জন্য নির্ভরশীল, তাদের কোন বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ২০১৮ সালের হিসেব বলছে, আমেরিকায় ব্যবহৃত ওষুধের ২৪% রফতানি করে ভারত। সেই সঙ্গে ৩১% ওষুধের প্রয়োজনীয় উপাদানও (API) জোগান দেয় দিল্লি।ঘটনা হল, ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি চিনের উপরে নির্ভরশীল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে সে দেশে রফতানি বন্ধ হলে প্রায় ৭০% API সংক্রান্ত ব্যবসা হারাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থারা।মঙ্গলবার বৈদেশিক বাণিজ্য দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, ‘নির্দিষ্ট এপিআই এবং তার থেকে তৈরি ওষুধ রফতানির উপরে পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ জারি করা হল।’ফার্মাকিউটিকালস এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান দীনেশ দুয়া জানিয়েছেন, ‘নিষেধাজ্ঞা জারি না হলেও আগামী দুই মাসের মধ্যে বেশ কিছু ওষুধ তৈরির উপাদানে ভাটা দেখা দিতে পারে। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ না হলে ওষুধের উপাদানে চূড়ান্ত মন্দা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে রাজ্য সরকারগুলিকে ওষুধ তৈরির ওই সমস্ত উপাদান নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নজর রাখতে বলা হয়েছে ওষুধ ও তার প্রয়োজনীয় উপাদানে কালোবাজারির উপরেও।