বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গোটা বিষয়টি পরিচালনা করলেন তাকে মাস্টারক্লাস বলে অভিহিত করছে সিএনএন। শুল্ক সংক্রান্ত ব্যাপারে টেনশন কিছুটা ছিল। তবে তার মধ্য়েই গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এগোতে থাকে।
এদিকে প্রতিশোধমূলক শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়টি মিটিং শুরুর আগেই উল্লেখ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এরপরই ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা কোন দিকে যাবে তা নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, সিএনএন-এর সিনিয়র ইন্টারন্যাশানাল করেসপন্ডেন্ট উইল রিপলে জানান ট্রাম্পের কূটনৈতিক বিষয়গুলি আগে থেকে আঁচ করা যায় না। সেই পরিস্থিতির মধ্য়ে গোটা বিষয়গুলিকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসা এটা মোদীর দক্ষতা। এটা বিশ্বনেতাদের শিক্ষনীয়। এটা পুরো একটা মাস্টারক্লাস ছিল। সবথেকে ভালো ফল যাতে হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য় যেভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন…
ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে যে চাপ রয়েছে সেটা জানতেন মোদী। এরপরই গোটা বিষয়টি ঘুরিয়ে দিয়ে ভারতের পারমাণবিক শক্তির উপর মার্কিন বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর মনোনিবেশ করেন। এফ ৩৫ যুদ্ধ বিমান কেনার উপর জোর দেন। পাশাপাশি মার্কিন পণ্যে ভারতের শুল্ক কমানোর বিষয়টি ফের আরও একবার জোর দিয়ে বলেন মোদী।
এতেই কার্যত কাজ হয়েছিল।
আর ওই যে MAGA প্লাস MIGA সমান MEGA সমৃদ্ধির জন্য একটা মেগা অংশীদারিত্ব। এই সব কথার জেরে খেলা ঘুরতে শুরু করে।
রিপলি জানিয়েছেন, তাঁদের মনে হয় একটা পিআর টিম আছে। আসলে এই ধরনের ব্র্য়ান্ডিং শুনতে ভালোবাসেন ট্রাম্প নিজেও।
এদিকে ভারত মার্কিন গাড়িতে ৭০ শতাংশ কর আরোপ করে, লাক্সারি গাড়িতে ১২৫ শতাংশ এগুলি নিয়ে সমালোচনা করছিল ট্রাম্প প্রশাসন। তবে শেষ পর্যন্ত দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনা সফল হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন ভারত আমেরিকার তেল ও গ্যাস কিনবে। আর মোদী বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও ভালো হবে বলে জানিয়েছেন। এটা অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে মিশন ৫০০-র কথাও বলা হচ্ছে। মিশন ৫০০ এর আওতায় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ তাদের নাগরিকদের আরও সমৃদ্ধ, দেশগুলিকে আরও শক্তিশালী, অর্থনীতিকে আরও উদ্ভাবনী এবং সরবরাহ শৃঙ্খলকে আরও স্থিতিস্থাপক করার জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সংকল্প করেছেন।