বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর থেকে হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল কর্ণাটকের রাজ্যপাল থরচন্দ গেহলোটের। আর সেই সময়ই ঘটে যায় বিপত্তি।
Ad
এয়ার এশিয়ার বিমান। প্রতীকী ছবি।(Photo by Vipin Kumar/ Hindustan Times)
বিমানে সওয়ার হওয়ার কথা ছিল কর্ণাটকের রাজ্যপাল থরচন্দ গেহলোটের। তিনি অপেক্ষা করছিলেন বিমানবন্দরের লাউঞ্চে। এই পরিস্থিতিতে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর থেকে রওনা হল এয়ার এশিয়ার বিমান। ঘটনা ঘিরে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ঘটনার ‘কারণ’ হিসাবে শোনা যাচ্ছে, ‘দেরি হচ্ছিল’ রাজ্যপালের বিমানবন্দরে পৌঁছতে। আর তার ফলেই এই কাণ্ড ঘটে। এদিকে, রাজ্যপালের মালপত্র বিমানে উঠে গিয়েছিল। আর রাজ্যপাল এসে বিমানবন্দরের লাউঞ্চে করছিলেন অপেক্ষা। এই ঘটনা রাজ্যপাল সম্পর্কিত সাংবিধানিক বিধি ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ, রাজ্যপালের প্রোটোকল অফিসাররা দায়েরও করেছেন। এই ঘটনার কথা এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে।
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর থেকে হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল কর্ণাটকের রাজ্যপালের। আর সেই সময়ই ঘটে যায় বিপত্তি। হায়দরাবাদে নেমে রায়চূড়ের দিকে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের। তিনি সেখানে একটি সমাবর্তন সমারোহে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। বিমান সংস্থার এই ঘটনা ঘিরে ঘটে যায় বড়সড় বিপত্তি। এদিকে কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২ থেকে রওনা হওয়ার কথা ছিল বিমানের। বিমানবন্দরে রাজ্যপাল পৌঁছতেই তাঁর মালপত্র বিমানে তোলা হয়। তবে কর্ণাটকের রাজ্যপালের সেখানে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে, এমন খবর বিমান সংস্থার কাছে যায়। এই দাবি সূত্রের। তখনই রাজ্যপালকে ছেড়ে রওনা হয় বিমান।
যদিও কর্ণাটকের রাজ্যপালের নিবাস সূত্রে এই বিষয়ে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। এদিকে, হায়দরাবাদে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আরও একটি অন্য বিমান ধরতে হয় রাজ্যপালকে। মূল এয়ার এশিয়ার বিমান চলে যাওয়ার পর ৯০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় রাজ্যপালকে। পরে তাঁকে অন্য একটি বিমানে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি এয়ার এশিয়া। বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, ‘ আমরা সাধারণত এয়ারলাইন সংক্রান্ত বিষয়ে মন্তব্য করি না। অনুগ্রহ করে এয়ার এশিয়া-র থেকে খোঁজ নিয়ে নিন।’