৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। গত প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি বেপাত্তা ছিলেন। পুলিশের খাতায় ফেরার থাকা ওই ব্যক্তিকে উত্তরপ্রদেশের সম্বল থেকে পুলিশ পাকড়াও করেছে। তিনি একটি আশ্রমে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি একটি মুদিখানার দোকানও চালাতেন। আলমোরার সিনিয়র সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ পঙ্কজ ভাট বলেন,' শুক্রবার নবরত্ন সিং নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় ৩০ বছর ফেরার ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে জামিন পাওয়ার পর থেকেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। ' পুলিশ সূত্রে খবর ওই ব্যক্তি সম্বল জেলারই বাসিন্দা ছিলেন। তিনি একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন। ভুয়ো নথি দেখিয়ে তিনি চাকরি পেয়েছিলেনএই অভিযোগে ১৯৯১ সালে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। এরপর তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়।কয়েক সপ্তাহ পরে তিনি জামিন পান। এরপর তাঁকে আদালতে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা না করে গা ঢাকা দেন। পুলিশ তার খোঁজ শুরু করে। কিন্তু তিনি বেপাত্তা। তার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়।এদিকে উত্তরাখণ্ড পুলিশ সম্প্রতি ফেরার আসামীদের ধরার জন্য অভিযানে নামে। ফের সম্বলে পুলিশ যায়। এরপরই খোঁজ মেলে নবরত্নের। দেখা যায় তিনি আশ্রমে লুকিয়ে রয়েছেন। সেখানে তিনি স্বেচ্ছাশ্রম দিতেন।একটি মুদিখানা দোকানও তিনি চালাতেন। তবে নবরত্নকে জালে পুরে স্বস্তিতে পুলিশ।