রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক শাপে–নেউলের মতো। কিন্তু তারপরও তিনি ঘাসফুল শিবিরের জন্য ভালো বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখানে একটি শর্ত আছে। সেটি হল–বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারীকে যত বাড়তি গুরুত্ব দেবে তত তৃণমূল কংগ্রেসের লাভ। আর এভাবেই গোটা বিষয়টিকে দেখছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও পূর্ব মেদিনীপুরের সভা থেকে মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে শুভেন্দুকে গদ্দার, অধিকারী পরিবারকে কুলাঙ্গার এবং বিজেপি দলটাকে হার্মাদ বলে তোপ দেগেছেন।
কেন শুভেন্দু তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য ভাল? বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় খোলসা করেন অভিষেক। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘বিজেপি নেতৃত্ব ওঁকে যত বেশি গুরুত্ব দেয়, ততই আমাদের ভালো। কারণ, রাজ্যে বিজেপিকে শক্তিশালী করার ওঁর ইচ্ছা নেই। উনি শুধু ব্যস্ত নয়াদিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নিজের গুরুত্ব বাড়াতে।’ তবে এই গুরুত্বের নেপথ্যে একটি কারণ আছে। তা হল—বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজনৈতিকভাবে কম অভিজ্ঞ শুভেন্দু অধিকারীর থেকে। আবার নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছেন তিনি। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক আছে।
আর কী বলেছেন অভিষেক? ২০২৩ সাল ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন গোটা দেশে। তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের ফল ভাল হবে বলেই তাঁর দাবি। এই বিষয়ে অভিষেকের দাবি, ‘নিখুঁত পূর্বাভাস এত আগে করা যায় না। নির্বাচনের মুখে ছবিটা আরও স্পষ্ট হবে। পশ্চিমবঙ্গে মোট ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২২টিতে লড়াই হবে। বাকি ২০টিতে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। ওই ২২টির মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ আমরা পাবই। ফল যদি খুব খারাপও হয়, ৩২টি আসন আমরা পাবই।’ তৃণমূল কংগ্রেস যদি ৩২টি আসন পায় তাহলে পড়ে থাকে আর ১০টি আসন। সেটা বাম–কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে কেমন করে ভাগ হবে বলা মুশকিল। তবে বিজেপি যদি ১৮টি আসন ধরে রাখতে না পারে তাহলে সেটা হবে বড় ধাক্কা।