
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
শক্তিগড়ে শুটআউটে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝার মৃত্যু নিয়ে এবার বিজেপিকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিজেপির সঙ্গে কয়লা মাফিয়ার যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। আবার দিঘার মঞ্চ নাম না করে অধিকারী পরিবারকে কুলাঙ্গার বলেও আক্রমণ শানালেন তিনি। আগে পূর্ব মেদিনীপুরকে অধিকারী গড় বলা হতো। এখন আর অধিকারীদের দখলে নেই। বরং একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্য রাজনীতিতে তো বটেই জেলার রাজনীতিতেও রীতিমত কোনঠাসা অবস্থা হয়েছে অধিকারীদের। তাই তাঁদের জেলাতে দাঁড়িয়েই কুলাঙ্গার বলে আক্রমণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? একদিকে রাজ্যের দুই প্রান্তে হিংসা ছড়ানো এবং অন্যদিকে কয়লা মাফিয়ার খুন হওয়া নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘পরশুদিনই এক কয়লা মাফিয়া মারা গিয়েছে। কই মুখ খুলছেন না তো? বলুন, কারা কারা ছিল তাঁর (রাজু ঝা) হোটেলে? কোন মন্ত্রী, কোন নেতা, কাদের কাদের টাকা দিয়েছে? কোন পার্টিকে সাহায্য করত? কই এসব নিয়ে বলছেন না তো। মুখে কুলুপ এঁটেছেন!’ কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের সঙ্গে বিজেপির সুসম্পর্ক ছিল সেটা সবাই জানে। আর সেটাকেই সামনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী।
অধিকারী পরিবারকে কুলাঙ্গার বললেন কেন? পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তাই ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভার মঞ্চ থেকেই তিনি নাম না করে অধিকারীদের আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘এই জেলাতেই কয়েকজন হার্মাদ চাকরি বিক্রি করেছে। পুরুলিয়ার চাকরিও এখানে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের অজান্তে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। যাঁদের খাইয়ে পরিয়ে মানুষ করেছিলাম। তাঁরা আজ এসব করছে। ভাবছে যাই এবার দিল্লি দখল করে আসি। বাংলা দখল করতে পারে না। তাঁর আবার বড় বড় কথা। এই গদ্দারদের খাইয়ে, পরিয়ে মানুষ করেছি। তাদের নিজেদের ক্ষমতা ছিল না তৃণমূল কংগ্রেসকে ছাড়া লড়াই করার। অখিল গিরি দাঁড়িয়েছিল কন্টাই থেকে। ওরা ছাগলের তৃতীয় সন্তান ছিল। মানুষের ঘরে ভাল মানুষ এবং কুলাঙ্গারও জন্মায়। এরা ক্ষমতা দেখে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? শনিবার রাতে শক্তিগড়ে শার্প শুটারদের গুলিতে প্রাণ যায় বিজেপি নেতা তথা কয়লা মাফিয়া রাজু ঝার। অন্ধকার জগতের বেতাজ বাদশা হয়ে উঠেছিল রাজু ঝা। রাজনৈতিক জগতে প্রবেশ নিয়ে পরিবারের আপত্তি থাকলেও যোগ দেন রাজু। দুর্গাপুরে তাঁর বিলাসবহুল হোটেল আছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় উচ্চপদস্থ অফিসাররা এখানে থেকে গিয়েছেন। তার জেরে রাজুর দিল্লির যোগাযোগ মজবুত হয়। ইডি–সিবিআই থেকে বাঁচতে একাধিক অন্ধকার জগতের লোকজন রাজুর উপরই ভরসা করেছিলেন। গোটা বিষয়টি নিয়েই এবার বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports