পাকিস্তানের বাস-বিস্ফোরণে মৃত্যু হল কমপক্ষে ১৩ জনের। মৃতদের মধ্যে ন'জন চিনা ইঞ্জিনিয়ার এবং দুই পাকিস্তানি সেনা জওয়ানও আছেন। আধিকারিকদের দাবি, বাসে ‘হামলা’ চালানো হয়েছে। যদিও পাকিস্তান সরকারের জল ও শক্তি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দাবি, দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল বাসটি।বুধবার উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের উচ্চ কোহিস্তান জেলার দাসু এলাকায় সেই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ৬০ বিলিয়ন ডলারের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর আওতায় দাসু বাঁধ তৈরির কাজে ইসলামাবাদকে সাহায্য করছিলেন চিনা ইঞ্জিনিয়ার এবং নির্মাণকর্মীরা। এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসি উর্দুকে জানিয়েছেন, আচমকা একটা জোরালো শব্দ হয়। বাসটি শূন্যে পাক খেতে থাকে। তারপর তা খাদে পড়ে যায়। স্থানীয়রাই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস থেকে উদ্ধার শুরু করেন।প্রাথমিকভাবে উচ্চ কোহিস্তান জেলার ডেপুটি কমিশনার মহম্মদ আরিফ জানিয়েছেন, দাসু বাঁধের নির্মাণের জন্য বাসে করে চিনা ইঞ্জিনিয়ার এবং নির্মাণকর্মীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় বিস্ফোরণ হয়। তারপর গভীর খাদে পড়ে যায় বাসটি। তাতে পাকিস্তানি সেনার ফ্রন্টিয়ার কর্পসের দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উচ্চ কোহিস্তান জেলার ডেপুটি কমিশনার। অপর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ চলছে। শুরু করা হয়েছে তদন্ত।জাতীয় সংসদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা বাবর আওয়ান সেই ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত আক্রমণ’ বলে দাবি করেছেন। সঙ্গে দাবি করেছেন, সেই 'হামলার' ফলে পাকিস্তান এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে যে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে, তা থেকে নজর ঘোরানো যাবে না। যদিও পাকিস্তান সরকারেই জল ও শক্তি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দাবি, দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বাসটি। যে কর্তৃপক্ষ দাস বাঁধ তৈরির দায়িত্বে আছে।