বাংলাদেশের তরুণ তুর্কী তথা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা চালানোর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এবার সেই ঘটনায় ৫৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আর ধৃতরা অধিকাংশই বাংলাশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মী বলে দাবি। তবে এই ঘটনায় সোমবার সকাল পর্যন্ত কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-'লালকেল্লা আমার…', নিজেদের মুঘল বংশধর দাবি করে মামলা সুলতানার, সুপ্রিম কোর্ট বলল….
সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্য়ায় হামলার শিকার হন হাসনাত। ঘটনাটি ঘটে গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায়। অভিযোগ, এনসিপি-র মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এই হামলায় হাসনাতের হাতে আঘাত লাগে বলেও দাবি করা হয়। ফেসবুকে সেই আঘাতের ছবিও পোস্ট করেছেন তাঁর দলের সহকর্মী সারজিশ। পাশাপাশি মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদ হাসান বলেন, সালনার গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানজটে চার-পাঁচটি বাইক এসে তাঁর গাড়িতে হামলা করে আততায়ীরা। হামলায় তিনি হাতে আঘাত পান এবং গাড়ির গ্লাস ও উইন্ডশিল্ড ভেঙে যায়।তিনি আরও বলেন, এরপর দ্রুত হাসনাতের গাড়ি বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) ক্যাম্পাসে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা জেনে তাঁকে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পুলিশের আরেকটি গাড়ি রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুন-'লালকেল্লা আমার…', নিজেদের মুঘল বংশধর দাবি করে মামলা সুলতানার, সুপ্রিম কোর্ট বলল….
বাংলাদেশের তরুণ তুর্কীর উপর হামলা হতেই তৎপর হয়ে ওঠে অন্তর্বর্তী সরকারের পুলিশ। গাজীপুর মহানগর পুলিশ সূত্রে খবর, হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনার পরই জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করে। অভিযান চালিয়ে তাৎক্ষণিক মহানগরীর বাসন এলাকা থেকে গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন ও কাশিমপুর থানা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ ওরফে দিপুকে আটক করা হয়। পরে রাতভর পুলিশ গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৪ জনকে আটক করে। তারপরেই পুলিশ পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করেছে শেখ হাসিনার দলকে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, যে সরকারকে তাঁরা বিদায় করেছেন, সেই সরকারের লোকজনই এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তারা নানা ইস্যু তৈরি করার জন্য এই হামলা করেছে। তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে পুলিশের একাধিক দল হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনা আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।