বয়স্কদের মধ্যে হাঁটুর ব্যথার ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে, যা প্রায়শই অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের লক্ষণ।
অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের ফলে হাড়ের সংযোগস্থলের চারপাশ ফুলে যেতে পারে। ফলে ব্যথা, শক্তভাব এবং চলাচলে অসুবিধা দেখা দেয়। জয়েন্টের ব্যথা ছাড়াও আর্থ্রাইটিস চোখ, হৃদপিণ্ড এবং ত্বক সহ অন্যান্য অঙ্গগুলিকেও প্রভাবিত করতে পারে।
অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসের কারণ ও লক্ষণ:
এটি সাধারণত বয়স বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত। তবে অতিরিক্ত ওজন, পূর্বে জয়েন্টে আঘাত এবং বংশগত কারণও এর ঝুঁকি বাড়ায়। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে -
- হাঁটুর ব্যথা যা নড়াচড়া করলে আরও বাড়ে।
- সকালে বা দীর্ঘ সময় বসে থাকার পর হাঁটু শক্ত হওয়া।
- হাঁটুর ফোলা এবং শব্দ হওয়া।
আরও পড়ুন - Gut Bacteria Issues: অন্ত্রে গুড ব্যাকটেরিয়া কমে গেলেই দেখা দেয় এসব লক্ষণ! পেট সাফ রাখতে সতর্ক হোন
ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা:
এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়, তবে কিছু পদ্ধতি ব্যথা নিয়ন্ত্রণ ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করে।
- ব্যায়াম ও ফিজিও থেরাপি: নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটা, সাঁতার বা সাইক্লিং, পেশি শক্তিশালী করে এবং জয়েন্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রয়োজনে ফিজিও থেরাপিও কার্যকর।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন হাঁটুর উপর চাপ সৃষ্টি করে তাই ওজন কমানো ব্যথা হ্রাসে সহায়তা করে।
- ওষুধ: ব্যথা নিয়ন্ত্রণে প্যারাসিটামল বা নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস (NSAIDs) ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এই ওষুধের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- ইনজেকশন থেরাপি: কিছু ক্ষেত্রে, কর্টিকোস্টেরয়েড বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়। তবে এর কার্যকারিতা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে।
- সার্জারি: যখন অন্যান্য পদ্ধতি ব্যর্থ হয় তখন আথ্রোপ্লাস্টি (জয়েন্ট প্রতিস্থাপন) করতে হতে পারে।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন
- সহায়ক ডিভাইস: হাঁটুর ব্রেস বা ক্যান ব্যবহার করে জয়েন্টের উপর চাপ কমানো যায়।
- উপযুক্ত জুতো: শক-অ্যাবজর্বেন্ট জুতো বা ইনসোল ব্যবহার করে হাঁটুর উপর চাপ হ্রাস করা যায়।
- তাপ প্রয়োগ: তাপ প্রয়োগ পেশি শিথিল করে এবং ঠান্ডা কিছু দিলে প্রদাহ কমে।
আরও পড়ুন - Period Health: ঋতুস্রাবের সময় রক্তের রঙই ইঙ্গিত করে শরীরের হাল! জেনে নিন
প্রাথমিক পর্যায়ে অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস শনাক্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব। যদি হাঁটুর ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।